|
|
|
|
ফিরে আসা ছাড়া আমার উপায় ছিল না: গম্ভীর |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মাথায় এত জোরে ধাক্কা লেগেছিল যে চোখে ভাল করে দেখতে পাচ্ছিলেন না। মাঝে মাঝে বমি পাচ্ছিল। এই অবস্থায় ইংল্যান্ডে থেকে গেলে সেটা দলের প্রতি অনৈতিক কাজ হত বলে মনে করছেন গৌতম গম্ভীর।
“আমার ফিরে আসা ছাড়া কিছু করার ছিল না,” বলেছেন গম্ভীর। তাঁর আরও ব্যাখ্যা, “ডাক্তাররা আমায় বলেছিলেন, যদি মাথা ঘোরায় আর বমি পায়, তা হলে বুঝবে তোমার ‘কনকাসন’ এখনও সারেনি। আমার ঠিক তাই হচ্ছিল। মাথা নিচু করলেই বমি পাচ্ছিল। কোনও একটা জিনিসের দিকে তাকিয়ে থাকলে মাথা ঘুরে যাচ্ছিল। তা ছাড়া সব ঝাপসা দেখছিলাম।”
ওভাল টেস্টের সময় কেভিন পিটারসেনের ক্যাচ ধরতে গিয়ে পড়ে যান গম্ভীর এবং মাথায় চোট পান। ডাক্তাররা বলেন, ‘কনকাসন’ হয়েছে। এর পর ভারতীয় ওপেনারকে ১০ দিন বিশ্রাম নিতে বলা হয়। এক দিনের সিরিজ না খেলে দেশে ফিরে এসে এই প্রথম মুখ খুললেন গম্ভীর। তাঁর পরিষ্কার কথা, আমার যা অবস্থা ছিল, তাতে ক্রিকেট খেলা যায় না। “যদি আপনি ভাল করে দেখতে না পান, যদি আপনি ঠিক করে ফোকাস করতে না পারেন, যদি বলের গতি বা লাইন বুঝতে না পারেন, তা হলে খেলার প্রশ্ন আসে কোথা থেকে? আর খেললে আপনি শুধু নিজেকেই বিপদে ফেলবেন না, দল আর দেশকেও ডোবাবেন। ওভাল টেস্টে ওই অবস্থায় ব্যাট করা ছাড়া আমার কিছু করার ছিল না। তাই করেছি। তার পর থেকে তো আমার ফিল্ডিংয়ের সময় বল ধরতেও সমস্যা হয়েছে।”
এর আগে কনুইয়ে চোট পাওয়ার জন্য দ্বিতীয় টেস্টে খেলেননি গম্ভীর। সেই সময় অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই বলেছিলেন, যন্ত্রণা নিয়েও খেলা উচিত ছিল গম্ভীরের। অভিযোগের জবাবে এখন গম্ভীর বলছেন, “লর্ডসে আমার কাজটা ছিল ব্লক করে যাওয়া। চোট নিয়ে সেটা আমি করেছিলাম। কিন্তু নতুন টেস্টে ওই অবস্থায় নামব কী করে? শুধু তো উইকেটে টিকে থাকলে হত না। রান করতে হত, ফিল্ডিং করতে হত, পাঁচ দিন মাঠে থাকতে হত।”
এর পর প্রাক্তনদের উদ্দেশে গম্ভীর বলেছেন, “কনুইয়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা ছিল। বাইরে থেকে বলা সহজ যে হাড় তো ভাঙেনি, তা হলে খেলবে না কেন? কিন্তু আমি তো টের পাচ্ছিলাম কতটা যন্ত্রণা হচ্ছিল। মনে রাখবেন, কনুই এবং হাতের চোট আলাদা। হাত ফোলা থাকলেও খেলা যায়। কিন্তু কনুইয়ের চোট নিয়ে ব্যাট করা যায় না।”
ইংল্যান্ড সফরে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে গম্ভীর বলেছেন, “ছ’টা ইনিংসের মধ্যে তিনটেতেই যখন যন্ত্রণা নিয়ে ব্যাট করতে হয়েছে, তখন আর পারফরম্যান্সের কথা মাথায় থাকে না।” |
|
|
|
|
|