|
|
|
|
দ্রাবিড়ের আউট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ধোনি |
রেফারেল পদ্ধতিতে ‘ত্রুটি’ আছে, স্বীকার আইসিসি-র |
সংবাদসংস্থা • দুবাই ও চেস্টার-লে-স্ট্রিট |
মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের ইংল্যান্ড সফর শুধু ভারতীয় ক্রিকেটকেই বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেয়নি, আইসিসি-কেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
ভারতের গোটা সফর ধরেই আইসিসি-র ‘আম্পায়ারস ডিসিশন রেফারেল সিস্টেম’ (ইউডিআরএস) নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর গত কাল রাহুল দ্রাবিড় আবার বিতর্কিত আউট হওয়ার পর তো জল আরও অনেক দূর গড়িয়েছে।
ভারত অধিনায়ক থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের তোলা একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়া আইসিসি-কে আজ স্বীকার করতে হয়েছে, ইউডিআরএস পদ্ধতিতে ‘সামান্য কিছু ত্রুটি আছে’। এমনকী আইসিসি সূত্রের খবর, এ মাসেই আইসিসি-র বৈঠকে ইউডিআরএস নিয়ে ঝড় উঠতে পারে।
আইসিসি-র পক্ষে এ দিন এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “টেস্ট ম্যাচ বা এক দিনের ক্রিকেটে যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তার সব ক’টাই দুবাইয়ের হেড কোয়ার্টারে খতিয়ে দেখা হয়। ডিআরএস পদ্ধতির লক্ষ্য হল যত বেশি সম্ভব নির্ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছনো।” একটি পরিসংখ্যান দিয়ে আইসিসি জানিয়েছে, ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে ৯৬.৩১ শতাংশ সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘সামান্য ত্রুটি’ যে থেকে যাচ্ছে, সেটা তাই মানতে বাধ্য হচ্ছে আইসিসি। ইউডিআরএস বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছেন আম্পায়ার সাইমন টফেল। শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে ফিল হিউজকে তৃতীয় আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেন। ওই টেস্টের প্রথম দু’দিন পর্যবেক্ষক হিসাবে মাঠে ছিলেন টফেল। হিউজের আউটের ওই সিদ্ধান্ত তিনি আইসিসি-কে ভাল করে খতিয়ে দেখতে বলেছেন। সব মিলিয়ে ইউডিআরএস নিয়ে বিতর্ক বাড়ছেই। এমনকী আইসিসি-র সভায় ঝড় উঠলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। |
|
বিতর্কিত আউটের মুহূর্ত। |
এ দিকে, গতকাল প্রথম এক দিনের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর ধোনি সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না, দ্রাবিড়কে কেন আউট দেওয়া হল। হট স্পটে কিছু বোঝা যায়নি। চোখে দেখে কিছু বোঝা যায়নি। এমনকী আম্পায়ারও দ্রাবিড়কে আউট দেয়নি। এ সব ক্ষেত্রে বেনিফিট অব ডাউট অবশ্যই ব্যাটসম্যানের পাওয়া উচিত।”
এর পর ধোনি আরও বলেন, “দ্রাবিড়ের আউটের ক্ষেত্রে স্নিকোমিটার কিছু দেখিয়েছিল কি? কিন্তু স্নিকোমিটারের সাহায্য কি নেওয়া যায়? তৃতীয় আম্পায়ার না অডিও টেকনিশিয়ান কে দ্রাবিড়কে আউট দিল? এই সিদ্ধান্তটা নিয়ে অনেক রকম প্রশ্ন ওঠে।”
ইংল্যান্ড সফরে বিতর্ক এবং দুর্ভাগ্য দুটোই সমান ভাবে ভারতকে তাড়া করে চলেছে। চোটের তালিকা বেড়েই চলেছে। সচিন তেন্ডুলকর অনিশ্চিত, রোহিত শর্মাও ছিটকে গেলেন। ধোনি বলছেন, “মনে হচ্ছে আরও ১৫ জন ক্রিকেটার দরকার। শুরুতে আমি বলেছিলাম, যা যা খারাপ হওয়ার তা আমাদের হচ্ছে। এখন তো দেখছি, তার থেকেও বেশি কিছু হচ্ছে।”
রোহিত নিয়ে ধোনি বলছেন, “ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে রোহিত। কিন্তু ওর এই সিরিজে আর খেলা হচ্ছে না। সচিনের পুরোনো চোটটাই আবার ভোগাচ্ছে।”
এই প্রথম ধোনিকে দেখা গেল দলের ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা খুশি। বলছিলেন, “প্রথম এক দিনের ম্যাচে ওপেনাররা বেশ ভাল ব্যাট করেছে। নতুন বলটা সামলে দেওয়া দরকার ছিল। সেটা করেছে। প্রথম দিকে বল বেশ সুইং করে। তাই শুরুতেই ভাল পার্টনারশিপটাও দরকার ছিল। অজিঙ্ক রাহানে আউট হয়ে যাওয়ার পর পার্থিব খেলাটা ধরে। বড় পার্টনারশিপ করে।”
পার্থিব-কোহলিদের ব্যাটিং নিয়ে ধোনি বলেছেন, “ওদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ছিল। মনে রাখবেন, আগামী ৩-৪ বছর এদের ভারতীয় ক্রিকেটে খেলতে দেখা যাবে। ভাল বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ওরা রান পেয়েছে। তার উপর এটাও মাথায় রাখতে হবে যে দলের সব থেকে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাই এখন খেলছে না। এই অভিজ্ঞতা ওদের ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।” |
|
|
|
|
|