বিচারপতি সৌমিত্র সেনের ইস্তফা গ্রহণ করলেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে আজ এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এবং এর পরে আগামিকাল লোকসভায় নির্ধারিত ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া চালানো হবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্র খুঁটিয়ে দেখে নিতে চাইছে, পরে যাতে কোনও জটিলতা তৈরি না-হয়। এ জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর: বিচারপতির ইস্তফা গৃহীত হওয়ার পরেও ইমপিচমেন্টের প্রয়োজন আছে কি না, সে সম্পর্কে অন্যান্য দলের মত নিতে চায় সরকার। লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার আগামিকাল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে সেই মতামত চাইতে পারেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ও আজ রাতে কলকাতা থেকে দিল্লি ফিরে এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছেন। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব রাজ্যসভায় বিপুল ভোটে পাশ হয়ে যাওয়ার পরে, গত বৃহস্পতিবার সৌমিত্রবাবু যে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন, সেটি নিমমাফিক হয়নি বলে প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রক। বিজেপি অবশ্য তখনই বলেছিল, এর পরে আর ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া চালানোর কোনও অর্থ হয় না। অন্য দিকে রাজ্যসভায় ওই বিচারপতিকে ইমপিচ করার প্রস্তাব এনেছিলেন যিনি, সিপিএমের সেই সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য ছিল: প্রক্রিয়াটা যখন এক বার শুরু হয়েছে, তখন সাংবিধানিক রীতি মেনে তা সম্পূর্ণ করাই উচিত। আবার লোকসভায় ইমপিচমেন্ট হল না, অথচ সৌমিত্রবাবুর ইস্তফা ‘নিয়মমাফিক’ না-হওয়া সত্ত্বেও গৃহীত হয়ে গেল এমনটা হলে পরে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে সংশয় ছিল সরকারি মহলে। এই পরিস্থিতিতে সৌমিত্রবাবু গতকাল নিয়মমাফিক নিজের হাতে লেখা ইস্তফাপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান। সেই ইস্তফাই আজ গৃহীত হয়েছে। এখন দলগুলো কী বলছে?
সিপিএমের লোকসভার দলনেতা বাসুদেব আচারিয়ার মন্তব্য, “আমরা চাই, এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামত নেওয়া হোক। আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হোক।” |