বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে শনিবার রাতে এক ব্যক্তির হার ছিনতাইয়ের সময়ে জখম হয়েছিল সে। রক্তাক্ত সেই হাতটাই ধরিয়ে দিল বছর বাইশের ছিনতাইবাজ মহম্মদ তৌসিফকে। যাঁর হার ছিনতাই হয়, আনন্দ শর্মা নামে ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান, পালানোর সময় ছিনতাইবাজের ডান হাত থেকে রক্ত ঝরছিল। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এক ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়ে সামসুল হুদা রোডের বাসিন্দা তৌসিফ।
পুলিশ জানায়, ওই রাতে ১১টা নাগাদ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড ধরে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মহানির্বাণ রোডের বাসিন্দা আনন্দবাবু। পুলিশকে তিনি জানান, আচমকা একটি মোটরবাইক এসে পথ আটকায়। তিন যুবক নেমে চালকের আসনের দিকে আসে। আনন্দবাবু কেন জোরে গাড়ি চালাচ্ছেন প্রশ্ন তুলে তাঁর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। এরই মধ্যে এক যুবক গাড়ির জানলার কাচে আঘাত করে। এর পরেই সে আচমকা আনন্দবাবুর গলার সোনার হার ছিনিয়ে নিলে বাইকে উঠে পালায় তিন জন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী লালবাজার কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সব জানান। ঘটনাস্থলে যায় বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। আনন্দবাবু পুলিশকে বাইকটির নম্বর বলতে না পারলেও জানান তিন যুবকেরই বয়স পঁচিশের মধ্যে। আর বলেছিলেন, যে যুবক কাচে আঘাত করেছিল পালানোর সময়েও তার ডান হাত থেকে রক্ত ঝরছিল। এই তথ্যটিই পুলিশকে সাহায্য করে। অত রাতে জখম যুবক সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করাতে যাবে অনুমান করে বালিগঞ্জ থানার ওসি সুকুমার ঘোষ বিভিন্ন হাসপাতালের পুলিশফাঁড়িতে জানিয়ে রাখেন, ডান হাতে জখম নিয়ে কোনও যুবক এলেই যেন থানায় খবর দেওয়া হয়।
রাত ১২টার কাছাকাছি ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকে সেই ‘খবর’ আসে। হাসপাতালে পৌঁছে ওই যুবককে জেরা শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, যুবকটির নাম তৌসিফ। তার প্যান্টের পকেটে মেলে একটি সোনার হারও। পুলিশের দাবি, ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে তৌসিফ। জানায়, তারা তিন জন আগেও এভাবে ছিনতাই করেছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। রবিবার আদালতে তৌসিফের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত হয়। |