| উত্তরবঙ্গকে সুইজারল্যান্ড তৈরি করতে চান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ব্যাপারে এ বার হাতেকলমে কাজে নামল রাজ্য পর্যটন দফতর। রবিবার ডুয়ার্সের রাজাভাতখাওয়ায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গাইড, হোম ট্যুরিজমের মালিক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন পযর্টন সচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ, পযর্টন অধিকর্তা পৃথা সরকার এবং যুগ্ম অধিকর্তা এ ছিরিং। পযর্টন সচিব জানিয়েছেন, দুর্গা পুজোর আগে ১ অক্টোবর রাজ্য সরকার ‘ট্যুরিস্ট ফ্রেন্ডলি’ ওয়েবসাইট চালু করবে। সেখানে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পযর্টন কেন্দ্র ছাড়া হোম ট্যুরিজমের মালিকদের নাম ফোন নম্বর-সহ ঠিকানা দেওয়া থাকবে। পর্যটন সচিব বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গকে সুইজারল্যান্ড বানানোর যে চেষ্টা করছেন তাতে প্রচন্ড গুরুত্ব সহকারে কাজ শুরু করেছে পর্যটন দফতর। ডুয়ার্সের বিভিন্ন বনবস্তির মানুষদের সঙ্গে কথা বলে পর্যটনের জন্য কী কী করা উচিত তা জানার চেষ্টা চলছে। আমরা পর্যটনের সঙ্গে জড়িত সমস্ত স্তরের মানুষদের সঙ্গে কথা বলছি।” ১২ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পষর্দের বৈঠক। সেদিন এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে বিষয়গুলি জানাবে পর্যটন দফতর। পর্যটন সচিব জানান, ইতিমধ্যে পর্যটন দফতর, বন দফতর ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর পযর্টনের বিকাশ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। পযর্টনের বিকাশের ক্ষেত্রে আলাদা নীতি তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চিলাপাতা, বক্সা পাহাড়, জয়ন্তী, রায়মাটাং এলাকায় হোম ট্যুরিজমে উৎসাহ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এ দিন রাজাভাতখাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে পর্যটন সচিব বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। তিনি জানান, বনবস্তির বাসিন্দারা বাড়িতে হোম ট্যুরিজম করলে রাজ্য সরকারের তরফে আধুনিক শৌচাগার তৈরীর জন্য আশি হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করা হবে। বক্সা ফোর্ট এলাকায় যে ডরমিটরি রয়েছে তার সংস্কার হবে। ওই এলাকায় তাঁবু খাটিয়ে পর্যটকদের রাখার চিন্তাভাবনাও চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। হেল্প ট্যুরিজমের তরফে রাজ বসু জানান, তরাই, ডুয়ার্স ও পাহাড়ের ৮২টি গ্রাম থেকে কিছুদিন আগে তাদের সংস্থার মারফত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের কাছে পর্যটন বিকাশের জন্য আবেদন জানানো হয়। |
