সিপিএমের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকে ছিলেন তাঁর দলের ছয় জন সহ- আট সদস্য। শুক্রবার আস্থা ভোটের দিন তাঁরাই হাজির হলেন না। ঘটনাটি বোলপুর ব্লকের সিঙ্গি পঞ্চায়েতের। বোলপুরের বিডিও অমল সাহা বলেন, “ওই পঞ্চায়েতের কয়েকজন সদস্য প্রধান ধানু মাজির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। শুক্রবার আস্থা ভোট ছিল। পঞ্চায়েতে প্রধান ছাড়া আর কোনও সদস্য হাজির হননি। তাই অনাস্থা খারিজ হওয়ায় ধানু মাজি’ই প্রধান হিসেবে বহাল রইলেন। ”
সিঙ্গি পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে সিপিএমের ১৩ জন, আরএসপি ও কংগ্রেসের ২ জন করে জিতেছিলেন। গত ২৩ অগস্ট সিপিএমের ৬ জন এবং আরএসপি ও কংগ্রেসের ১ জন করে সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষন, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে অনাস্থার প্রস্তাব দেন। কিন্তু, আস্থা ভোটের দিন তাঁরা এলেন না কেন? অনাস্থার প্রস্তাব আনা এক সিপিএম সদস্য আসরফ আলির অভিযোগ, “তৃণমূল আমাদের ভয় দেখিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করিয়েছিল। পরে, আমরা সবাই ঠিক করি প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে যাব না।” তাঁর কথার সূত্র ধরে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সমীর ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “তৃণমূলের ভয়ে পঞ্চায়েতের আমাদের দলের সদস্যরা প্রধানের বিরুদ্ধে সই করলেও পরে তাঁরা তা প্রত্যাহার করতে চান। কিন্তু, বোলপুরের বিডিও পক্ষপাতমূলক আচরণ করে তড়িঘড়ি অনাস্থা ভোটের দিন ঘোষণা করে দেন।” প্রধান ধানু মাজিও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল। ভয় দেখিয়ে আমাদের দলের সদস্যদের নিজেদের দলে টানতে চেয়ে তৃণমূল আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চেয়েছিল। কিন্তু, ওদের অপচেষ্টা ভেস্তে গিয়েছে।”
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ-সভাপতি বিকাশ রায় চৌধুরী’র দাবি, “সিপিএমের অন্তঃকলহের জেরে ও শরিকি কোন্দলে ওরা প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। ওই পঞ্চায়েতে আমাদের কোনোও সদস্যই নেই। তাই ওদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।” বোলপুরের বিডিও’র দাবি, “অনাস্থা প্রস্তাব আসার পরে নিয়ম মেনে ভোটের দিন ক্ষণ ঠিক করা হয়েছিল। পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়নি।” |