তাঁদের নিয়ে অনেক ‘মুখরোচক’ খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সে সব এক কথায় ‘নস্যাৎ’ করে দিয়ে এ বার মুখ খুললেন মুয়াম্মর গদ্দাফির ৫ বিদেশি নার্সের এক জন। আদতে ইউক্রেনের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সি ওকসানা বালিন্সকায়া জানালেন, তাঁদের সঙ্গে গদ্দাফির সম্পর্কের কথা। বললেন, তাঁরা সকলেই গদ্দাফিকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকতেন। তাঁর কথায়, “ড্যাডি আমাদের চাকরি দিয়েছেন। অর্থ দিয়েছেন। খুব সুন্দর এক জীবনও পেয়েছিলাম ওঁর জন্যই।” শুধু তা-ই নয়, লিবিয়ার প্রাক্তন ওই শাসককে যদি মেরে ফেলা হয়, তবে তিনি খুবই দুঃখ পাবেন বলেও এ দিন জানান ওকসানা।
ওকসানা জানিয়েছেন, ‘ড্যাডি’-র স্বাস্থ্যের প্রতি তাঁদের যেমন নজর ছিল, তেমনিই ওঁরা কেমন আছেন, সে সম্পর্কেও প্রায়ই খবর নিতেন গদ্দাফি। একই সঙ্গে তিনি জানান, কারও সঙ্গে প্রথম করমর্দন থেকেই নাকি সেই ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা করতে পারতেন গদ্দাফি।
পাশাপাশি, গদ্দাফির বাড়িতে কখনওই তাঁর ব্যক্তিগত নার্সরা তাঁর সঙ্গে ‘একা’ দেখা করেননি বলেও ওকসানা দাবি করেন। এ জন্যই গদ্দাফির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত নার্সদের ‘সম্পর্ক’ নিয়ে ‘মুখরোচক’ খবরে তিনি প্রচণ্ড আহত হন বলেও জানিয়েছেন। বস্তুত, কিছু দিন আগে উইকিলিকসের ফাঁস করা একটি বার্তায় বলা হয়েছিল, তাঁর এক ব্যক্তিগত নার্স গালিনা কোলোনিস্তকায়া গদ্দাফির দৈনন্দিন কমর্সূচি জানতেন। তাঁর সঙ্গে গদ্দাফির ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ ছিল বলেও মার্কিন কূটনীতিকদের পাঠানো ওই বার্তায় দাবি করা হয়। ওকসানা এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “গালিনাও আমাদের মতোই এক জন নার্স ছিল। অবশ্যই ও সুন্দরী। কিন্তু ওর সম্পর্কে এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।” গত ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়া ছেড়ে দেশে চলে এসেছেন ওকসানা।
তবে এখনও লিবিয়ার অবস্থা কিন্তু সেই তিমিরেই। গদ্দাফির শেষ ঘাঁটি বানি ওয়ালিদের দিকে এ বার এগোচ্ছে বিদ্রোহী জাতীয় কাউন্সিলের সেনা। এই শহরের দখল এখনও গদ্দাফি-সেনার হাতে। আর সেই শহরের দখল নিতেই এখন চূড়ান্ত প্রস্তুত লিবিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। দু’এক দিনের মধ্যেই ওই শহরের দখল তারা নিতে পারবে বলে জানিয়েছে। গদ্দাফি জমানার অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি ওই শহর থেকে উদ্ধার করা হতে পারে বলে বিদ্রোহী জাতীয় কাউন্সিল আজ দাবি করেছে। তাদের দাবি, গদ্দাফির ছেলে সাদি এবং গদ্দাফি ঘনিষ্ঠ অনেক নেতাই ওই শহরে রয়েছেন। তবে, প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের পুত্র সইফ অল ইসলাম গদ্দাফি ওই শহর ছেড়ে পালিয়েছেন বলেই তাদের দাবি। |