চিকিৎসককে মুক্তি দেবে না পাকিস্তান
সংবাদসংস্থা • ইসলামাবাদ |
আমেরিকার অনুরোধ মেনে সিআইএ-র এজেন্ট চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদিকে মুক্তি দিচ্ছে না পাকিস্তান। ওসামা-নিধনের বেশ কয়েক মাস আগে এই শাকিলই সিআইএ-র ‘ভুয়ো’ পোলিও টীকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে আসেন। পাকিস্তানের দাবি, সে সময় তাঁর আসল উদ্দেশ্য ছিল ওসামার পরিবারের ডিএনএ সংগ্রহ এবং খুঁজে বার করা আদৌ ওসামা অ্যাবটাবাদে লুকিয়ে রয়েছেন কি না। মে-র শেষে অথবা জুনের শুরুতে তাঁকে গ্রেফতার করে আইএসআই।
গত ২৮ জুলাই মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন শাকিলের মুক্তির অনুরোধ জানিয়ে ফোন করেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে। কিন্তু তাঁর অনুরোধ খারিজ করে দিয়ে জারদারি জানিয়ে দেন, গোটা বিষয়টিই এখন পাকিস্তানের বিচারবিভাগীয় কমিশনের অধীনে। আজ
প্রেসিডেন্টের দফতরের এক কর্তা এই কথা জানান। ওসামার অ্যাবটাবাদে লুকিয়ে থাকা থেকে শুরু তাঁর হত্যা পর্যন্ত পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ওই কমিশন। সিআইএ-র হয়ে কাজ করার অভিযোগে শাকিল ছাড়াও আরও বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা। আশঙ্কা, অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে বিদেশি সংস্থার চর হিসেবে কাজ করার জন্য মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে শাকিলের।
আমেরিকার তরফে দাবি করা হয়েছে, অ্যাবটাবাদের ওই বাড়িতে ঢোকার সুযোগ পেলেও ওসামার দেখা পাননি শাকিল। ডিএনএ-নমুনা সংগ্রহ করতেও ব্যর্থ হন তিনি। |
ভয়াবহ দাঙ্গার স্মৃতি এখনও টাটকা। এর মধ্যেই ফের অশান্ত হয়ে উঠল লন্ডনের একাংশ। পূর্ব লন্ডনের একটি এলাকায় শনিবার স্থানীয় মানুষের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে দক্ষিণপন্থী ‘ইংলিশ ডিফেন্স লিগ’ (ইডিএল)-এর সদস্যরা। অগস্টে দাঙ্গার পর রাজনৈতিক পদযাত্রার উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ইডিএল-এর হাজার খানেক সদস্য হোয়াইট চ্যাপেল রোডের অ্যাডগেট স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এর পরেই স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় ইডিএল-এর। পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনায় ৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |