বিপিএল তালিকা অস্বচ্ছ। প্রকৃত গরিবদের নাম নেই সেই তালিকায়। এমন দাবি তুলে বিপিএল তালিকাভুক্তদের চাল বিলিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
রবিবার সিপিএম পরিচালিত দুর্গাপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ২০০৮ সালের বিপিএল তালিকা ধরে চাল দেওয়া হচ্ছিল এ দিন। কিন্তু তৃণমূলের দাবি, তালিকা নয়, সমস্ত গরিব মানুষকে চাল দিতে হবে। চাল বিলি বন্ধ করে দেয় পুরসভা। ডেপুটি মেয়র শেখ সুলতান বলেন, “সোমবার বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনকে জানানো হবে।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে দুর্গাপুর খরাপ্রবণ এলাকা বলে ঘোষিত হয়েছিল। সেই জন্য বিপিএল তালিকাভুক্তদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু নানা কারণে সেই চাল বিলির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যায়নি। শনিবার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমড়াই ও কাণ্ডেশ্বর গ্রামে চাল বিলি শুরু হয়। রবিবার সকাল থেকে ফের চাল দেওয়া হচ্ছিল। স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে চাল বিলির তদারক করছিলেন ডেপুটি মেয়র। তাঁর অভিযোগ, “হঠাৎ তৃণমূলের পতাকা নিয়ে কয়েক জন এসে দাবি জানান, এলাকার সমস্ত গরিবদের চাল দিতে হবে। বিপিএল তালিকা মানা হবে না। তাঁদের জানানো হয়, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী গরিবদের তালিকা প্রশাসনের কাছে অনুমোদন করেই তাঁদের চাল দেওয়া সম্ভব। কিন্তু তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তা মানতে চাননি। শেষ পর্যন্ত চাল বিলি বন্ধ হয়ে যায়।” ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, প্রায় ৭০ শতাংশ চাল বিলির কাজ হয়ে গিয়েছিল। এ দিন সামান্য কিছু চাল লুঠ করারও অভিযোগ উঠেছে কয়েক জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে।
তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের শিল্পাঞ্চল নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিপিএল তালিকা অস্বচ্ছ। অনেক প্রকৃত গরিবের ওই তালিকায় ঠাঁই হয়নি। আবার বড়লোকেরাও তালিকায় রয়েছেন। সেই জন্যই প্রকৃত গরিবদের চাল দেওয়ার দাবি ওঠে। তবে চাল লুঠের সঙ্গে তাঁদের দলের কেউ জড়িত নেই বলে দাবি করেছেন প্রভাতবাবু। |