বিক্ষোভের মুখে পড়ে জমিমালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন অন্ডাল বিমাননগরী নির্মাণে নিযুক্ত বেঙ্গল এরোট্রোপলিস কর্তৃপক্ষ। রবিবার দুপুরে দুর্গাপুরে সংস্থার অফিসে ওই জমিমালিকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় তাঁদের। সংস্থার সিইও সুব্রত পাল বলেন, “ওঁদের দাবি-দাওয়া লিখিত ভাবে জমা দিতে বলেছি। তা পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।”
জমির দাম বাড়ানোর দাবিতে বিমাননগরী গড়ার কাজে বেশ কিছু দিন ধরে বাধা দিচ্ছেন কিছু জমিমালিক। এ দিন অন্ডাল পঞ্চায়েত অফিসে একটি স্তন-ক্যানসার নির্ণয় শিবিরের আয়োজন করেছিলেন এরোট্রোপলিস কর্তৃপক্ষ। সকাল ১১টা নাগাদ সেখানে যাচ্ছিলেন সংস্থার অন্যতম আধিকারিক শুভঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায়। রাস্তায় জমিমালিকদের দু’টি সংগঠন ‘অন্ডাল ব্লক কৃষক ও খেতমজুর সংগ্রাম কমিটি’ ও ‘দুবচুড়ুরিয়া কৃষক স্বার্থরক্ষা কমিটি’র সদস্যেরা তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শুভঙ্করবাবু গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ঘণ্টাখানেক পরে শুভঙ্করবাবুকে নিয়ে সেখানে যান সংস্থার সিইও সুব্রতবাবু। তিনি ওই জমিমালিকদের দুর্গাপুরে সংস্থার অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন। |
দু’টি জমিমালিক সংগঠনের মোট ছ’জন প্রতিনিধি এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে এরোট্রোপলিসের অফিসে যান। সেখানে সুব্রতবাবু-সহ চার আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তাঁরা। আলোচনা শেষে জমিমালিকদের তরফে দোনা গোস্বামী ও নরেশ চক্রবর্তী জানান, নিজেদের দাবি-দাওয়ার কথা সংস্থাকে জানিয়েছেন তাঁরা। দোনাবাবুর দাবি, প্রায় ১৯২ একর জমির মালিক চেক না নেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের জমি রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমকে হস্তান্তরিত করা হয়েছে। অধিগৃহীত ১১টি মৌজার খেতমজুর এবং বর্গাদারেরাও কোনও টাকা পাননি। খেতমজুরদের ৫ বছরের মজুরি ও বর্গাদারদের জমির দামের ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সুব্রতবাবু দাবিগুলি সাত দিনের মধ্যে লিখিত ভাবে জমা দিতে বলেছেন। দোনাবাবুর বক্তব্য, “এরোট্রোপলিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। তাঁদের কথা মতো সপ্তাহখানেকের মধ্যে আমরা দাবিপত্র জমা দেব।” সংস্থার সিইও সুব্রতবাবু বলেন, “লিখিত দাবিপত্র পেলে আমাদের দিক থেকে যা করণীয় আছে, তা করা হবে।” |