জেলা প্রশাসন বলছে ব্লকে টাকা পাঠানো হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের বক্তব্য, টাকা জেলা সদরে পড়ে আছে। জেলা ও ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের ওই উতোর চাপানে মিড ডে মিলের বকেয়া ৫৬ লক্ষ টাকা পাবেন কিনা তা নিয়ে ধন্দে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা। এক বছর কেটে গেলেও বরাদ্দ টাকা না মেলায় প্রশাসনের কর্তাদের কাছে শিক্ষক সমিতিগুলি প্রশ্ন তুলেছে ‘টাকা কোথায় গেল!’ ঘটনার তদন্তের দাবি উঠেছে। সরকারি ভাবে ২০১০ সালের জুলাই, অগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসের মিড ডে মিল বাবাদ মোট ৫৬ লক্ষ ১৫৪৭৩ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু গত এক বছর থেকে তপন ব্লকের প্রাথমিক শিক্ষকরা জেলা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফায় দরবার করেও টাকা হাতে পাননি। ওই পরিস্থিতিতে ধারে মিড ডে মিলের কাজ চালিয়ে যেতে তাঁদের জেরবার দশা হয়েছে। বকেয়া টাকার দাবিতে নিরুপায় শিক্ষকরা রান্না বন্ধ রেখে আন্দোলন করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। মিড ডে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক নারায়ণ সরকার বলেন, “এখানে টাকা পড়ে নেই। মিড ডে মিল প্রকল্পের সব টাকা ব্লকে পাঠানো হয়েছে।” তপনের বিডিও অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একই মেমো নম্বরে প্রাথমিক স্কুল এবং শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলির মিড ডে মিলের টাকা বরাদ্দ হয়। ওই সময় তপন ব্লকের ২০০টি প্রাথমিক স্কুলের টাকা বরাদ্দ হলেও ৯৩টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের টাকা বরাদ্দ না-হওয়ায় তিন মাসের টাকা দেওয়া হয়নি। জেলা থেকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।” তপন ব্লকের ২০০টি প্রাথমিক স্কুল ও ৯৩টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের জন্য জুলাই মাসে বরাদ্দ ছিল ১৯ লক্ষ ৪৩৫৪৯ টাকা, অগস্টে ২০ লক্ষ ২৩১৯৬ ও সেপ্টেম্বরে ১৬ লক্ষ ৪৮০০০ টাকা। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা নেতা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য দিব্যেন্দু সমাজদার ওই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলেছেন।
|
রিপোর্ট পাঠাল জেলা প্রশাসন |
জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতরের গুদাম ঘরে আগুন লেগে নথি পুড়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে ফুড কমিশনারকে রিপোর্ট পাঠাল কোচবিহার প্রশাসন। শুক্রবার বিকালে কোচবিহারের ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার ওই রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসকের রিপোর্টে বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুন লাগার কথা জানিয়ে জরুরি কোনও ফাইলপত্রের ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। দমকল, পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাটি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট দেন। ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক বলেন, “পুলিশ, দমকল বা এক জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের রিপোর্ট শুধু নয় আমিও বিভিন্ন মহল থেকে খোঁজ নিয়েছি। শট সার্কিট থেকে আগুন লাগার সম্ভবনা রয়েছে। কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পোড়েনি। সব রিপোর্টে জানিয়েছি।” প্রায় দেড় মাস আগে কোচবিহার খাদ্য সরবরাহ দফতরে আচমকা পরিদর্শনে যান তৃণমূলের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি সরবও হয়েছিলেন। আগুনের ঘটনার পর রবীন্দ্রনাথবাবু দুর্নীতি প্রমাণ লোপাটের সন্দেহের কথা বলেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে খাদ্য সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ফুড কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “জেলাশাসকের রিপোর্ট নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমরা দলীয় তদন্ত রিপোর্ট খাদ্যমন্ত্রীকে দিয়েছি। তাতে দুর্নীতির প্রমাণ লোপাটের নথিপত্র পোড়ানোর আশঙ্কাই উঠে এসেছে।”
|
শহরে শপিং মল খোলার প্রতিবাদে শুক্রবার মালদহ শহর ও পুরাতন মালদহে ব্যবসা বন্ধের ডাক দিল মালদহ মাচের্ন্ট চেম্বার অব কমার্স। শনিবার ওই শপিং মলের উদ্বোধন রুখতে, শপিং মলের সামনে ধর্নায় বসে জেলার সমস্ত ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ দেখাবে। ব্যবসা বন্ধ ও বিক্ষোভের পরেও যদি শপিং মল বন্ধ না হয় তবে অনশনে বসার হুমকি দিয়েছেন জেলার ব্যবসায়ীরা। মালদহ মাচের্ন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, ‘‘শহরের বাইরে শপিং মল হলে আমাদের আপত্তি নেই। আমাদের আপত্তি শহরের জনবহুল এলাকা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে তৈরি হওয়ায়। এতে শহরের যানজট বাড়বে। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করে বেআইনি ভাবে শপিং মল তৈরি হয়েছে।” ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ, শহরে শপিং মল হলে মালদহ ও পুরাতন মালদহের ১৫০০ ছোট ব্যবসায়ী ও তাঁদের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীরা মার খাবেন। সেই কারণেই শুক্রবার মালদহ ও পুরাতন মালদহে ২৪ ঘন্টা ব্যবসা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। জয়ন্তবাবু বলেন, “যে কোনও মূল্যে শহরের বুকে শপিং মল রুখবই। মন্ত্রী বা বিধায়ক যেই শপিং মল উদ্বোধন করতে আসবেন আমরা বাধা দেব।” মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের বক্তব্য, কলকাতা, শিলিগুড়ির সঙ্গে মালদহকে এক করে দেখলে চলবে না। দুর্গাপুরে শপিং মল শহরের বাইরে। তবে মালদহে শপিং মল কেন শহরের বাইরে করা হবে না?
|
চার্চের যাজক বলে পরিচয় দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের নানা এলাকা থেকে ১৮ জন কিশোরী ও তরুণীকে ফুঁসলে ভিন রাজ্যের পাচারের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি। তামিলনাড়ুর ত্রিচি এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম জোসেফ বেলারমিন। বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ ও গঙ্গারামপুর এলাকা থেকে আদিবাসী পরিবারের ১৮ জন নাবালিকা ও তরুণীকে কাজের টোপ দিয়ে তামিলনাড়ুতে তিনি নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।
|
ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বালুরঘাটে এক তোলাবাজকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম ভোলা সাহা। শহরের ঘাটকালী বাজারপাড়ার ওই যুবক বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী খুনের ফেরার অভিযুক্তের নামে শহরের এক জুতোর শোরুমের মালিকের কাছে এক লক্ষ টাকা দাবি করে। শুক্রবার বালুরঘাট থানার পুলিশ ধৃত যুবককে হাজির করলে মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক টিটো রব ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
|
দিনহাটা গীতালদহের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালুর দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাল ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির তরফে ফ্যাক্স করে ওই চিঠি পাঠানো হয়। গীতালদহ সীমান্তে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ১৯৯৭ সালে বন্ধ হয়েছে। অথচ ওই চেকপোস্ট চালুর পরিকাঠামো রয়েছে। চেকপোস্ট চালু হলে গীতালদহ-মোগলহাট বাণিজ্যিক যোগাযোগে কোচবিহার ছাড়া ডুয়ার্স ও নিম্ন অসমের ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। |