|
|
|
|
লুঠপাটের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
জুতোর দোকানে হামলা চালিয়ে লক্ষাধিক টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার কালিয়াচক থানায় অভিযোগ জানান তাঁরই দলের এক নেতার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কালিয়াচকে বালিয়াডাঙ্গা ও চৌরঙ্গি মোড়ের মাঝখানে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে মালদহ জেলা পরিষদের সিপিএম সদস্য গোলাম কিবরিয়া বিশ্বাসের স্ত্রীর জুতোর শোরুম রয়েছে। গোলাম কিবরিয়া বিশ্বাসের দাদা আসাদুল্লা বিশ্বাস কালিয়াচকের প্রভাবশালী নেতা কালিয়াচক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ ১৫-১৬ দুষ্কৃতী ওই জুতোর দোকানে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সিপিএম নেতা গোলাম কিবরিয়া বিশ্বাস অভিযোগ করেন, “রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুস সাত্তারের সামনেই ইমামজাগির এলাকার স্ত্রীর জুতোর দোকানে দুষ্কৃতী হামলা হয়। দোকান ভাঙচুর করে লক্ষাধিক টাকা লুঠপাঠ করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে স্ত্রী কালিয়াচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ দিকে দলের প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের নেতার স্ত্রী মামলা করায় অস্বস্তিতে সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবন মৈত্র বলেন, “গতকাল রাতে দলের নেতার স্ত্রীর জুতোর দোকানে এক দল দুষ্কৃতী হামলা করে লুটপাট চালিয়েছে। হামলার ঘটনায় প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়টি আমি জানি না।” পুলিশ সুপার ভুবন মন্ডল বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে হামলা, লুট, ভাঙচুর চালানোয় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার কথা শুনে প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুস সাত্তার বলেন, “ঈদের দিন আমি কালিয়াচকে গিয়েছিলাম। ওই দিন রাতেই মালদহ হয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছি। আমি মালদহে ছিলাম না। আমি কী ভাবে কালিয়াচকে দাঁড়িয়ে থেকে জুতোর দোকানে হামলার নেতৃত্ব দিলাম বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করলেই সব জানতে পারবে।” কালিয়াচকের মুজমপুর এলাকায় নেতৃত্ব দখল নিয়ে রাজ্যের ত্রাণমন্ত্রী আবদুস সাত্তারের সঙ্গে দলেরই ওই এলাকার নেতা আসাদুল্লা বিশ্বাসদের সঙ্গে বিবাদ দীর্ঘদিনের। প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুস সাত্তার বলেছেন, “আসাদুল্লা আমাকে ও আমার পরিবারকে মুজমপুর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। মন্ত্রী হয়েও গ্রামে ঢুকতে পারিনি। দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব সব জানেন।” |
|
|
|
|
|