|
|
|
|
|
ঠাকুর সাজবেন কী বেশে? |
শপিং করতে করতে নাকি এক বার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
পাক্কা শপারুর সাজগোজের ফিরিস্তি। সেলেব ওয়ার্ডরোব-এ মোনালি ঠাকুর |
স্কুল আর কলেজের ছোট-বড় অনুষ্ঠানসেখান থেকেই এক দিন ইন্ডিয়ান আইডল-এর মঞ্চে, আর তার পর এক-একটা সিঁড়ি টপকে বলিউড-এর সঙ্গীত জগতে তারা হয়ে যাওয়া। রাতারাতি পাততাড়ি গুটিয়ে আরব সাগরের তীরে। কলকাতার মিষ্টি মেয়ে মোনালি ঠাকুর মুম্বইবাসিনী হলেও ঠিক যেন পাশের বাড়ির সেই মেয়েটি। সোজাসাপটা কথাবার্তা। সাজগোজেও তাই। যা চোখে লাগে, মনে ধরে তাই-ই পরেন। ফ্যাশন-এর কোনও ফমুর্লাই মানেন না। দেখলেন হয়তো আউট অব ফ্যাশন, অথচ দিব্যি পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মোনালি। অকপট যুক্তি, ‘আজ যেটা আউট, কাল তো সেটাই ঘুরে আসে, নাকি? তাই ও নিয়ে অত মাথা ঘামাই না। বরং নিজের স্টাইল-এর খেয়াল বেশি রাখি।’
কাজের সুবিধে, তাই প্রথম পছন্দ পশ্চিমি পোশাক। ওয়ার্ডরোব জুড়ে জিন্স,শার্ট, প্যান্ট, স্কার্ট। বাড়িতে পছন্দ শর্ট-প্যান্ট আর টপ। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নকশা করা পোশাকও বেশ পছন্দ। তবে ওয়ার্ডরোব-এ যাই থাকুক না কেন, মোনালির প্রাণের জিনিস হল একটা সাদা শার্ট, কালো লুজ টপ, এক জোড়া জিন্স আর একটা নাইট ড্রেস। নীচে যেমন-তেমন একটা স্কার্ট পরে ওপরে লুজ টপ’টা গলিয়ে নিলেই হল। আর ওই জিন্স জোড়া? ‘এত আরামের যে আমি মোটা হলাম না রোগা- ওরা পরোয়াই করে না।’ সব সময়ের সঙ্গী। তবে যেখানেই থাকেন না কেন, রাতে ওই স্পেশাল নাইট ড্রেসটা চাই-ই চাই। ‘দেখলে মনে হবে ঘর মোছার ন্যাকড়া! কিন্তু পরলে বড় আরাম।’ সালোয়ার তেমন একটা পরেন না। কিন্তু ক্লাস নাইন-এ মাসি’র দেওয়া লাল-কালো সালোয়ারটা বড় প্রিয়।
কলকাতায় কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠান মানেই শাড়ি। ‘আসলে এক-একটা শাড়ি এত সুন্দর হয় যে ছাড়তে পারি না।’ এই তো কয়েক মাস আগে মা’র জন্য একটা কাঞ্জিভরম কিনেছিলেন। গাঢ় গোলাপি আর অফ-হোয়াইট রঙের। সোনালি জরির পাড়। এত্ত সুন্দর যে প্রাণে ধরে আর মা’কে দিতে পারেননি।
|
সাজঘরের অন্দরে |
যত্ত সব উদ্ভট জুয়েলারি পছন্দ মোনালির। পেলেই কিনে ফেলেন রং-চঙে চুড়ি, ঝোলা দুল। বয়ফ্রেন্ড চ্যাং দিয়েছিলেন নাগাল্যান্ড-এর একটি নকশা করা হার। সেটাও দারুণ পছন্দের। আর পছন্দ সোনার গয়না। স্পেশালি ঝুমকো দুল। ঘড়ি পছন্দের দলে পরে না,কিন্তু হিল তোলা জুতো আর সানগ্লাস দেখলে সামলাতে পারেন না। ব্র্যান্ডেড-নন ব্র্যান্ডেড সব মিলিয়ে নয়-নয় করে প্রায় পয়ঁত্রিশটা জুতো আছে মোনালির সংগ্রহে। তবে অন্য সব যেমন-তেমন হলেও সানগ্লাস-এর ব্যাপারে দারুণ সচেতন। ব্র্যান্ডেড না হলে পরবেন-ই না। |
কিনছি কিনব কিনব |
পাক্কা শপারু বলতে যা বোঝায় মোনালি এক কথায় তাই। আশপাশ ভুলে কিনতেই থাকেন, কিনতেই থাকেন। কী সাইজ, কার জন্য নিচ্ছেন অতসব ভাবেন না। পছন্দ হল তো কেনা হয়ে গেল। কাকে দেবেন সে পরের ভাবনা। মাঝেমাঝে ওয়ার্ডরোব খুলে একটা দারুণ ড্রেস দেখে নিজেই অবাক হয়ে গেলেন হয়তো। খেয়ালই নেই যে, সেটি কবে, কোথায় কিনেছিলেন। ‘তখন নিজেকেই নিজের একটা সারপ্রাইজ দেওয়া হয়ে যায়। কী, দারুণ না?’ |
সাক্ষাৎকার: রুমি গঙ্গোপাধ্যায় |
|
|
|
|
|