মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে অভিযোগ জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। অভিযোগপত্রে তিনি বলেছেন, উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে দলের ছাত্র সংগঠনের এক সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী বেকার যুবকদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের মধ্যে পড়ে। এ ব্যাপারে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন বিমানবাবু।
মুখ্যমন্ত্রীর যে বক্তব্য নিয়ে সিপিএমের অভিযোগ, তা তিনি বলেছিলেন গত ২৮ অগস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে। তার দু’দিন পরে মঙ্গলবার বিমানবাবু রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে অভিযোগপত্র দেন। শুক্রবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম জানান, তিন দিন হয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন বিমানবাবুর চিঠির জবাব দেয়নি। তবে মহাকরণ সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এ দিনই বিমানবাবুর অভিযোগ মুখ্যসচিবের কাছে পাঠিয়ে বলেছেন, সরকার যেন অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে তাঁর কাছে রিপোর্ট পেশ করে। পরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের বিশেষ সচিব আনন্দগোপাল ঘোষ বলেন, “অভিযোগ যথাযথ ভাবে খতিয়ে দেখবে সরকার।”
প্রসঙ্গত, নেতাজি ইন্ডোরে ওই সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী ‘ছাত্র-ব্রিগেডে’র কথা ঘোষণা করে বলেছিলেন, যে সব ছাত্রছাত্রী ব্রিগেড সমাবেশে যাবেন, তাঁদের নাম নথিভুক্ত হবে। দু’বছর তাঁরা শহরে বা গ্রামে সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরে চাকরি পাবেন। সিপিএমের অভিযোগ, এ কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরের দিনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বিষয়টি তুলে ধরে মমতার বিরুদ্ধে ‘দলতন্ত্রের’ অভিযোগ এনেছিলেন। সেলিম এ দিন বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আইন-কানুনের তোয়াক্কা করেন না। বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে আমরা ভুরি-ভুরি অভিযোগ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আশা করি, এ বার নির্বাচন কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।” |