ওয়াকফ সম্পত্তি
’৭৭ নয়, ’৪৭ থেকেই তদন্ত চাইলেন সেলিম
য়াকফের বেআইনি কাজ নিয়ে সিবিআই তদন্ত করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন বৃহস্পতিবার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সরকারের উপর ‘পাল্টা চাপ’ সৃষ্টি করতে ১৯৪৭ সাল থেকে ওয়াকফের সব কাজকর্ম নিয়ে সিবিআই তদন্ত দাবি করলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত যে সব ব্যক্তি ওয়াকফ সম্পত্তি ভোগদখল করছেন, অবিলম্বে তাঁদেরও বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি। তবে কে বা কারা ওয়াকফ সম্পত্তি ভোগদখল করছেন, তা স্পষ্ট করে বলেননি সেলিম। তিনি শুধু বলেন, “অনেকেই করছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানেন।”
শুক্রবার আলিমুদ্দিনে সেলিম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় কী বলেছেন, তা দেখেছি। সরকারি ভাবে এখনও কোনও সিবিআই তদন্ত ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু উনি শুধু বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের ওয়াকফের কাজ নিয়ে সিবিআই তদন্ত করবেন কেন? ক্ষমতা থাকে তো ১৯৪৭ সাল থেকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিন। সব রাঘব-বোয়ালের নাম প্রকাশ পাবে!” সেলিমের ইঙ্গিত কংগ্রেস ও তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার দিকে। সেলিম এক সময়ে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবে ওয়াকফ সম্পর্কে তিনি সম্যক জানেন। সেই সূত্র ধরেই তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যিই ওয়াকফ নিয়ে তদন্ত করতে চান, তা হলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা ওয়াকফ সম্পত্তি ভোগদখল করছেন, আগে তাঁদের সরিয়ে দিন।”
জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থাও নিয়েছিল। কিন্তু সিপিএমের চাপে তাদের বহু নেতাকেই পুলিশ আড়াল করেছিল বলে মমতা মনে করেন। এ বার সেই সব নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই তিনি সিবিআই তদন্তের কথা বলেছেন। এ দিন সেলিম বলেন, “আমাদের সময়ে তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছিল। এখন উনি আরও ব্যবস্থা নিতে চাইলে নিন। কোনও আপত্তি নেই। তবে যথাযথ তদন্ত করেই ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এ দিকে, মমতা আরও অভিযোগ করেছেন, সংখ্যালঘু বিত্ত উন্নয়ন নিগমের টাকা শেয়ার-বাজারে খাটানো হয়েছে। তা নিয়েও তদন্ত হবে। বামফ্রন্টের আমলে সেলিম দীর্ঘ দিন নিগমের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, “টাকা খরচ নিয়ে আইন পাশ হয়েছিল। সংখ্যালঘু বিত্ত উন্নয়ন নিগমের ব্যাপারে যে ভাবে আয়ের কথা বলা হয়েছিল, সে ভাবেই আয় করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এ রাজ্যের নিগমকে মডেল হিসেবে ঘোষণা করেছিল।” মমতাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে সেলিম বলেন, “উনি যদি প্রমাণ করতে পারেন, গরিব সংখ্যালঘু বেকার যুবক-যুবতীকে টাকা না দিয়ে শেয়ার বাজারে টাকা খাটানো হয়েছে, তা হলে আমি ওঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করব!”
নিগমের টাকা বাজারে খাটানোর পিছনে সেলিমের যুক্তি, “কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নিগমকে সুদে টাকা দেয়। সেই টাকা কার্যত বিনা সুদে গরিব বেকারদের দেওয়া হয় এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ঋণও শোধ করা হয়। যদি বাজারে টাকা খাটিয়ে আয় না করা যায়, তা হলে বিত্ত উন্নয়ন নিগম চালানো অসম্ভব। কেন্দ্রও এ কথা মেনে নিয়েছিল। তাই তা করা হয়েছিল।”
মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে সেলিম বলেন, “নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নিগমকে আজ পর্যন্ত কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের জন্য নেতাজি ইন্ডোরে বিরাট করে অনুষ্ঠান করেছেন। নিগমের বিগত কমিটি যদি টাকা না রাখত, তা হলে এই অনুষ্ঠান করা সম্ভব হত না।”
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.