টুকরো খবর
বিক্ষোভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে
সম কাজে সম মজুরি দেওয়ার দাবিতে সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থান করল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন অনুমোদিত বিদু্যূৎকেন্দ্র ঠিকা শ্রমিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সংগঠনের সদস্যেরা অবস্থান শুরু করেন। শুক্রবার সংগঠনের নেতারা বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে সম মজুরি দেওয়া সহ শ্রমিকদের সমস্যাগুলি সমাধানের দাবিতে স্মারকলিপি দেন। এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে চুক্তিবদ্ধ ঠিকা শ্রমিক ও চুক্তিতে না থাকা ঠিকা শ্রমিকরা একই ধরণের কাজ করলেও দু’টি ক্ষেত্রের শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রের খবর, চুক্তিবদ্ধ ঠিকা শ্রমিকরা অন্যান্য ঠিকা শ্রমিকদের তুলনায় বেশি মজুরি পান। তৃণমূলের ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের বরুন মেহেতার অভিযোগ, “চুক্তির আওতায় থাকা ও চুক্তির বাইরে থাকা একই কাজ করেন। অথচ, তাঁরা সমান মজুরি পান না। এছাড়া অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকেও চুক্তির বাইরে থাকা ঠিকা শ্রমিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা চাই, এই বৈষম্য উঠে গিয়ে সবাই সম হারে সম মজুরি পান।” বস্তুত রাজ্যে সরকারের পরিবর্তনের পরে এই দাবিতে তৃণমূল সরব হয়েছে। বরুনবাবুর দাবি, “আমরা আন্দোলন করায় চুক্তির বাইরে থাকা শ্রমিকদের সবেতন ছুটি (ই এল) ও বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যাপারে তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়েছেন। এবার ওই শ্রমিকদের ‘গ্র্যাচুইটি’ দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।” রঘুনাথপুরের সহকারী শ্রম মহাধ্যক্ষ অশোককৃষ্ণ সাহা বলেন, “ওই শ্রমিকরা যাতে ‘গ্র্যাচুইটি’ সহ অন্যান্য সুবিধাগুলি পায়, সে ব্যাপারে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঠিকা সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলব।”

ঝালদায় পুরপ্রধান নির্বাচিত
ঝালদার পুরপ্রধান নির্বাচিত হলেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের প্রদীপ কর্মকার। শুক্রবার গোপন ব্যালটে ভোট হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বামফ্রন্টের প্রার্থী কালীপদ চট্টোপাধ্যায়কে ৭-৫ ফলে পরাজিত করেন প্রদীপবাবু। পুরসভার ১২ জন সদস্য ভোটে যোগ দিয়েছিলেন। ঝালদা পুরসভায় ১২ সদস্যের মধ্যে ৩ জন সিপিএমের, ফরওয়ার্ড ব্লকের ২, সিপিএম সমর্থিত নির্দল ১ এবং কংগ্রেস ও নির্দলের ৩ জন করে সদস্য ছিলেন। ডামাডোলের সূত্রপাত ৮ জুন। ওই দিন কংগ্রেসের তিন প্রতিনিধি পুরপ্রধান, বামফ্রন্টের পঙ্কজ মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। ১৫ জুলাই অনাস্থার ভোটাভুটির দিন ধার্য হয়েছিল। কিন্তু ভোটাভুটির আগেই পঙ্কজবাবু তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে ভোটাভুটির দিন সিপিএমের দু’জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। ২২ জুলাই ভোটাভুটির পরে পঙ্কজবাবুর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। ওই দিন ৭-৫ অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার তাপসকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “তার পরে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর বিরোধী দলনেতা প্রদীপবাবুকে পুরপ্রধানের দায়িত্ব নিতে বলে। কারণ এই পুরসভায় উপপুরপ্রধান নেই। তবে একই সঙ্গে এই নির্দেশও দেওয়া ছিল, এক মাসের মধ্যে প্রদীপবাবুকে নিজের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। নিয়ম মতো ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হত। শুক্রবার ৭-৫ ফলে তিনি জিতে যান। আমরা জেলা প্রশাসনকে সব জানিয়েছি।” প্রদীপবাবু বলেন, “এটা ঝালদার মানুষের জয়।” অন্য দিকে, বামফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছিলেন নির্দলের কালীপদ চট্টোপাধ্যায়। বামফ্রন্টের পক্ষে ৭টি ভোট পড়ার কথা থাকলেও পড়েছে ৫টি ভোট। সিপিএমের ঝালদা শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক সুমন দে বলেন, “কেন এমন হল আমরা খতিয়ে দেখব।”

স্কুল নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল
আকুই ইউনিয়ন হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তৃণমূল। টানা ৩২ বছর এই স্কুলের পরিচালন সমিতি দখলে রেখেছিল সিপিএম। এবার সেই স্কুলে প্রার্থীই দিতে পারেনি সিপিএম। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। আকুই ইউনিয়ন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃণালকান্তি ঘোষাল বলেন, “অভিভাবক প্রতিনিধিদের ছ’টি আসনের জন্য শুধুমাত্র তৃণমূলের ছ’জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই আর নির্বাচন করার দরকার হচ্ছেনা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওই ছ’জনকে ঘোষণা করা হল।” যদিও প্রার্থী দিতে না পারার জন্য তৃণমূলের সন্ত্রাসকে দায়ি করেছেন সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির আহ্বায়ক অসীম দাস। তাঁর দাবি, “আমাদের দলের কেউ প্রার্থী হলে তৃণমূলের লোকেরা তাঁর উপর অত্যাচার করত। সেই ভয়ে কেউ প্রার্থী হতে চাননি।” স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য পঙ্কজ মাজিলার পাল্টা দাবি, “হার নিশ্চিত বুঝেই সিপিএম প্রার্থী দেয়নি। এলাকার মানুষ জানেন কারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে।”

ভাতার দাবিতে ঘেরাও স্বাস্থ্যকর্তা
মে মাসের বকেয়া ভাতা পুরনো হারে অবিলম্বে দেওয়া ও প্রত্যেককে সমহারে সাম্মানিক ভাতা দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার ওন্দার বিএমওএইচ’কে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় আশা কর্মীরা। এ দিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে বিএমওএইচ অভিজিৎ দেওঘরিয়াকে ঘেরাও করে রাখা হয়। পরে, পুরনো হারেই বকেয়া ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়ার পরে তিনি ঘেরাও মুক্ত হন। পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মচারী ইউনিয়নের জেলা সম্পাদিকা মিনতি মণ্ডলের নেতৃত্বে এ দিন আশাকর্মীরা বিএমওএইচে’র কাছে গিয়ে মে মাসের বকেয়া ভাতা পুরনো হারে (৮০০ টাকা) দেওয়ার দাবি জানান। তাঁকে ঘেরাও করে রাখা হয়। মিনতিদেবী বলেন, “আমরা পুরনো হারে মে মাসের বকেয়া ভাতা দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। অন্যান্য জেলা তা মেনে নিলেও বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর তা মানছে না। একই সঙ্গে আমরা প্রত্যেক আশাকর্মীকে সমহারে ভাতা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।” বিএমওএইচ বলেন, “ওদের দাবি মেনে নিয়ে মে মাসের বকেয়া ভাতা ৮০০ টাকা দেওয়া হবে। সমহারে ভাতা দেওয়ার যে দাবি তাঁরা তুলেছেন, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

বৃদ্ধ খুনে ধৃত পড়শি
এক বৃদ্ধকে খুন করার অভিযোগ উঠল পড়শি এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থানার পোগরোডি গ্রামের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম কালীপদ মাছুয়া (৬০)। কালীপদবাবুর ছেলে মঙ্গল মাছুয়ার অভিযোগ, “আমি ওই সময় বাড়িতে ছিলাম। বাবা বাড়ির উঠোনে একটি কাঠের উপরে বসেছিলেন। হঠাৎ পড়শি দর্ন লোহার কুঠার নিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে। বাবা পড়ে যেতেই পিঠে কোপ মারে।” কী কারণে এই খুনের ঘটনা মঙ্গলবাবু জানাতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, জখম অবস্থায় কালীপদবাবুকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে বাঘমুণ্ডি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকের মৃত বলে জানিয়ে দেন।

ডাকাতি, ধৃত ১
হিমঘরে ডাকাতির ঘটনায় শুক্রবার সকালে কোতুলপুর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম বাপ্পা রায়। মঙ্গলবার রাতে বিষ্ণুপুর থানার রাধানগর অঞ্চলের বনকাটি গ্রামে নির্মীয়মাণ একটি হিমঘরে লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ জানায়, ফেলে যাওয়া মোটবাইকের সূত্র ধরে বাপ্পাকে ধরা হয়েছে। তাকে জেরা করে বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার খেজুরহাটি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই হিমঘরের জেনারেটরের নানা যন্ত্রাংশ। জেরা করে ধৃতের কাছ থেকে আরও কয়েক জনের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।

পঞ্চায়েতে তালা তৃণমূলের
ইন্দিরা আবাস যোজনায় দুর্নীতি বন্ধ করা, বিপিএল তালিকাভুক্ত প্রতিটি পরিবারকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া-সহ ৪ দফা দাবিতে পঞ্চায়েতে দীর্ঘক্ষণ তালা দিয়ে রাখল তৃণমূল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে ময়ূরেশ্বরের কলেশ্বর পঞ্চায়েতে। সিপিএম পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতে এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ তারা তালা দিয়ে দেয়। দুপুর ২টো নাগাদ প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে তারা তালা খুলে দেয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জানে আলম বলেন, “ইন্দাস আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন না। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও কাজ না হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।” সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও বাবুবাল মাহাতো বলেন, “ইতিমধ্যে ইন্দিরা আবাস যোজনায় দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারকে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদন পেলে সংযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।”

দর্শককে ‘নিগ্রহ’ তদন্তে বনদফতর
বোলপুর রেঞ্জের বল্লভপুর অভয়ারণ্যে এক দশর্ককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। সাঁইথিয়া থানার রক্ষাকালীর বাসিন্দা বেসরকারি স্কুল শিক্ষক হারুণ রসিদের অভিযোগ, “মাঝে মধ্যে সেখানে বেড়াতে যাই। মঙ্গলবার সামান্য বেশি ক্ষণ ছিলাম বলে এক বন কর্মী আমার কাছ থেকে বিনা রশিদে জরিমানা নেয়। তারপর আমাকে মারধর করে।” তিনি এ ব্যাপারে বোলপুরের রেঞ্জ অফিসার অনিল চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ জানান। অনিলবাবু বলেন, “ওই দর্শকের বিরুদ্ধে অন্যদেরও অভিযোগ রয়েছে। তবে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারুর দোষ প্রমাণিত হলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.