তপন থিয়েটারে অনুষ্ঠিত মনতাজ সঙ্গীত অ্যাকাডেমির উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতানুষ্ঠানের সূচনা হল নৃত্যের মাধ্যমে। শিববন্দনা পরিবেশন করলেন ঐন্দ্রিলা পোদ্দার। এর পর সমবেত কণ্ঠে দাদরা শোনালেন দেবাঞ্জন মণ্ডল, ঋ
ষা বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণী ভট্টাচার্য। পরিবেশনা মোটামুটি। তবলা সাহচর্যে ছিলেন জয় দালাল। পরবর্তী অনুষ্ঠান নৃত্যানুষ্ঠান। কবি জয়দেবের দশাবতার স্তোত্রমের রূপায়ণ করেন সংযুক্তা ভট্টাচার্য। শিল্পীর অঙ্গসঞ্চালনা ও মুদ্রার ব্যবহার দৃষ্টিশোভন। কণ্ঠসঙ্গীতের আসরে রাগ বসন্ত শোনালেন আগ্রা ঘরের তালিমপ্রাপ্ত সুমন্ত্র সরকার। শিল্পীর কণ্ঠ সুরেলা। লয় ও তানকর্তব বৈচিত্রময়। মুন্সিয়ানার সঙ্গে প্রথমে বিলম্বিত একতাল পরে দ্রুত একতাল পেশ করেন। শিল্পীর শেষ নিবেদন রাগ কাফির একটি বন্দিশ। তবলায় যথাযোগ্য সহযোগিতা করেন স্পন্দন সরকার। হারমোনিয়ামে সনাতন গোস্বামী। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি শিল্পী বিশু রায়। বাঁশিতে রাগ হংসধ্বনি ও শেষে একটি ধুন বিন্যস্ত করেন। পরিণত পরিবেশনা। শিল্পীকে পাখোয়াজে সুসঙ্গ দেন অপূর্বলাল মান্না। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মমতা সরকার।
|
একই সঙ্গে দু’টি উপলক্ষ পালন করল লোরেটো কলেজ। এক দিকে রবীন্দ্রনাথের দেড়শো বছর, অন্য দিকে কলেজের একশো বছরে পদার্পণ। রবীন্দ্রসদনে দু’টি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছিল এ দিনের এই অনুষ্ঠানটিকে। প্রথম পর্বে ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘অচলায়তন’ নাটক অবলম্বনে ‘গুরু’ শীর্ষক একটি আলেখ্য। পরিচালনায় ছিলেন অমৃতা দাশগুপ্ত। সঙ্গীত ও নির্দেশনায় সৌম্যা ভট্টাচার্য। অংশগ্রহণ করেছিলেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অদিতি দাশগুপ্ত, কৃষ্ণকলি হাজরা, আলপনা গোস্বামী, আত্রেয়ী বসু, দেবিকা গুহ, রত্না ভট্টাচার্য, শুভশ্রী ঘোষ, সোমা গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘বাল্মীকি প্রতিভা’র মঞ্চায়ন। অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন সংশোধনাগারের বন্দিরা। পরিচালনায় ছিলেন অলকানন্দা রায়। শুরু থেকে শেষ দু’টি পর্বের অনুষ্ঠানেই ছিল টানটান উত্তেজনা ও ভাল লাগা। শ্রোতারা মুগ্ধ। |