টুকরো খবর
|
মেডিক্যাল কলেজ থেকে পালাল বন্দি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চিকিৎসা করাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছিল এক বিচারাধীন বন্দিকে। সেখান থেকেই পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে গেল ওই বন্দি। এর আগে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে বন্দি পালানোর ঘটনা স্মরণাতীত কালে ঘটেনি। পলাতক বন্দির খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে। শুধু সদর শহর নয়, তল্লাশি চলছে খড়্গপুর ও তার আশপাশেও। বেশ কয়েকটি চেক-পোস্টকে সতর্ক করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সুকেশ জৈন বলেন, “ওই বন্দির খোঁজে তল্লাশি চলছে।” রামু রায় নামে ওই বিচারাধীন বন্দিকে শুক্রবার সকালে মেদিনীপুর মেডিক্যালে আনা হয়েছিল। সঙ্গে আরও ১৩ জন বন্দি ছিলেন। প্রিজন ভ্যানেই তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসার জন্য এক পুলিশ কর্মীর সঙ্গে রামু হাসপাতালের একটি ঘরে গিয়েছিলেন। এরই ফাঁকে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান তিনি। রামুর বাড়ি মেদিনীপুর শহরের ঝর্নাডাঙায়। গত ২৯ অগস্ট খড়গপুর স্টেশন থেকে মোবাইল চুরির অভিযোগে রেলপুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরে আদালতের নির্দেশে মেদিনীপুর সংশোধনাগারে ছিলেন রামু। সূত্রের খবর, এ দিন যে ১৪ জন বন্দিকে চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে আনা হয়েছিল, তার মধ্যে ৮ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। বাকিরা বিচারাধীন। সঙ্গে ছিলেন দু’জন জেলকর্মী ও ৮ জন পুলিশকর্মী। আগামী ১২ অগস্ট রামুকে ফের আদালতে হাজির করানোর কথা। তার আগে এই ঘটনায় হতভম্ব পুলিশ থেকে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। বন্দি পালানোর খবর পেয়েই মেদিনীপুর মেডিক্যালে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর)। কয়েকটি থানাকে সতর্ক করা হয়। এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যে ভাবে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে বন্দিদের হাসপাতালের বহির্বিভাগে আনা হয়, সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা আরও ঢেলে সাজা জরুরি কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে। কারা দফতরের ডিআইজি (মেদিনীপুর) শোভন দীন বলেন, “কেন এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
সিপিএম কর্মী প্রহৃত, ধৃত দুই তৃণমূল কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক সিপিএম কর্মীকে মারধরের ঘটনায় শুক্রবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় শালবনি ব্লকের সিজুয়ায়। আবদুল হাকিম নামে ওই সিপিএম কর্মীকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কয়েক জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী। পরে তাঁদের ক্যাম্পে আনা হলে উত্তেজনা বাড়ে। শতাধিক গ্রামবাসী যৌথ বাহিনীর ক্যাম্প ঘেরাও করেন। এঁরা সকলেই তৃণমূল সমর্থক। তাঁদের দাবি ছিল, যাঁদের ধরে আনা হয়েছে, তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে। পরে ঘটনাস্থলে আসে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এক সময়ে সিপিএমের শক্তঘাঁটি বলেই পরিচিত ছিল সিজুয়া। তবে এখন এই এলাকায় তৃণমূলের প্রভাবই বেশি। স্থানীয় সূত্রে খবর, ক’দিন ধরেই এখানে সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল সমর্থকদের বচসা বাধছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমের ক’জন কর্মী গ্রামবাসীদের উপর ফের অত্যাচার শুরু করেছেন। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক অফিসার তাঁদের মদত দিচ্ছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে আবদুলের উপর চড়াও হয় কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। হঠাৎই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে যৌথ বাহিনী স্থানীয় কয়েক জনকে ধরে সিজুয়া ক্যাম্পে আনে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই শতাধিক গ্রামবাসী ক্যাম্প ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি দেখে ঘটনাস্থলে পৌঁছন শালবনি থানার ওসি বিশ্বজিৎ সাহা। পরে আলোচনার প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। সিপিএম কর্মীরা ফের গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার শুরু করেছেন। এতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক অফিসারের মদত রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সিজুয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
|
চাল পাচারে অভিযুক্ত কাউন্সিলর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ভুষিমাল দোকানে ত্রাণের চাল পাচারের অভিযোগ উঠল ঘাটাল শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। পুরভোটের সময় জিইউসি-র হয়ে লড়লেও গণেশ বড়দোলই নামে ওই নির্দল কাউন্সিলর পরে তৃণমূলে যোগ দেন। অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার ঘাটাল শহরে মিছিল-মাইকিং করেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। মদত দেয় সিপিএম। ঘাটাল শহরের দেওয়ানি আদালত সংলগ্ন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে ত্রাণ বাবদ বরাদ্দ ১৯ বস্তা চাল রাখা ছিল বেশ কয়েক দিন ধরে। বৃহস্পতিবার রাতে তার মধ্যে ১০ বস্তা চাল পাশেরই একটি ভুষিমাল দোকানে পাচার করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে এই নিয়ে হইচই বাধলে পুলিশে খবর যায়। পুলিশের পাশাপাশি মহকুমাশাসক ও খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা আসেন। দোকান থেকে ১০ বস্তা চাল উদ্ধারও হয়। এরপরে সকলের সামনেই ভুষিমাল দোকানের মালিক বনমালী সামন্ত লিখিত ভাবে জানান, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নির্দেশেই তিনি ওই চাল দোকানে রেখেছিলেন। পুলিশ চাল বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি দোকানটিকে ‘সিল’ করে দিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দোকান মালিক বনমালীবাবুকে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। তদন্ত করার পরেই বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিকে, তৃণমূলের উপপুরপ্রধান উদয় সিংহরায়ের দাবি, “বর্ষায় ওয়ার্ড কমিটির ছাদ দিয়ে জল পড়ায় চালের বস্তা পাশের দোকানে রাখা হয়েছিল মাত্র। পাচার করা হয়নি।” ওই দোকানীকে অকারণে গ্রেফতার ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামা হবে বলে জানিয়েছেন উদয়বাবু। দাবি নস্যাৎ করে সিপিএমের ঘাটাল জোনাল কমিটির সম্পাদক অশোক সাঁতরা বলেন, “ছাদ দিয়ে জল পড়ার মতো অবস্থা নয় ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ের। তা ছাড়া আরও ৯ বস্তা চাল তো কার্যালয়ের মধ্যেই রাখা ছিল। দুর্নীতি ঢাকতে মিথ্যা কথা বলছেন তৃণমূল নেতারা।”
|
গোপন তথ্য পাচারে অভিযুক্ত কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
সরকারি ফাইল অফিসের বাইরে নিয়ে গিয়ে তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠল এগরা মহকুমাশাসকের দফতরের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নয়ন পণ্ডা সিপিএম প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতা। জেলাশাসকের নির্দেশে শুক্রবার তাঁকে শো-কজ করেন মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায়। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কো-অর্ডিনেশনের এগরা মহকুমা সম্পাদক দুলাল খাঁড়ার বক্তব্য, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।” বৃহস্পতিবার অফিসে সকলের নজর এড়িয়ে বেআইনি কাজের তদন্ত রিপোর্ট সম্বলিত একটি ফাইল এগরা শহরের একটি দোকানে নিয়ে গিয়ে ফোটোকপি করার অভিযোগ উঠেছে নয়নবাবুর বিরুদ্ধে। অফিস ছেড়ে দোকানে ফোটোকপি করতে আসায় সন্দেহ হয় খোদ দোকান-মালিকেরই। খবর পৌঁছয় অফিসের ডানপন্থী ফেডারেশন সমর্থক কর্মচারীদের কাছে। এর পরেই ফাইল সমেত ধরা পড়েন নয়নবাবু।
|
জঙ্গলমহলে ২ টাকার চাল মিলবে ৫৫ কেজি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জঙ্গলমহলের দুঃস্থ পরিবারগুলিকে দু’টাকা কেজি দরে মাসে ৩৫ কিলোগ্রাম চাল বিলি করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল নতুন রাজ্য সরকার। এ বার সেই চালের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫৫ কিলোগ্রাম করা হল। শুক্রবার বাঁকুড়া জেলায় এসে এ কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সিমলাপালে ব্লক অফিসে এ দিন ওই প্রকল্পের উপভোক্তাদের বিশেষ কার্ড বিলি করার সময় মন্ত্রী এ কথা জানান। জঙ্গলমহলে রেশন ব্যবস্থা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নতুন ১২০টি দোকান খোলা হচ্ছে বলে তিনি জানান। সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, “অনেক এলাকায় রেশন দোকান দূরে। তাই তিন জেলার জঙ্গলমহলে ১২০টি ও বাঁকুড়ার বাকি এলাকায় ৩০টি নতুন রেশন দোকান খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জঙ্গলমহলে ৪৩ টি ও বাঁকুড়ার বাকি এলাকায় ১৬টি নতুন রেশন দোকান চালু করা হয়েছে।” তাঁর আশ্বাস, “দুর্গাপুজোর মধ্যে বাকি রেশন দোকানগুলি চালু করার চেষ্টা চলছে।”
|
সৌরবিদ্যুৎ চালিত পথবাতি তমলুকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
শহরের যে সব এলাকায় এখনও রাস্তার ধারে আলোর বন্দোবস্ত নেই, সেখানে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পথবাতি বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তমলুক পুরসভা। প্রাথমিক ভাবে প্রায় ৫০০টি সৌরবিদ্যুৎ চালিত আলো বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর হলেও তমলুক শহরের বেশ কিছু এলাকা ও জনবহুল পাড়া রয়েছে, যেখানে পথবাতির বালাই পর্যন্ত নেই। নতুন সংযোজিত এলাকাগুলিতে বিদ্যুতের খুঁটিতে ল্যাম্প বসিয়েই দায় সেরেছে পুরসভা। এই সব এলাকাগুলি চিহ্নিত করে প্রথম পর্যায়ে ৫০০টি সৌরবিদ্যুৎ চালিত আলো বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দ অর্থেই এই কাজ হবে। শহরের প্রান্তিক এলাকাগুলিতে এই ভাবে আলোর বন্দোবস্ত করলে এক দিকে যেমন রাতে যাতায়াতের সুবিধা হবে, তেমনই শহরে আলোর জন্য বিদ্যুতের খরচ নতুন করে বাড়বে না। লোডশেডিংয়ের সময়েও রাস্তায় আলো থাকবে। পুরপ্রধান দেবিকা মাইতি বলেন, “নতুন এই পরিকল্পনা রূপায়ণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।”
|
পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, গ্রেফতার স্বামীর বন্ধু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন স্বামী। এ বার স্বামীর এক বন্ধুকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে পটাশপুরের কৈনাড়া গ্রামের বাসিন্দা চণ্ডী প্রধানকে ধরে শুক্রবার কাঁথি এসিজেএম আদালতে তোলে পুলিশ। ধৃতের ১৪ দিন জেলহাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, পটাশপুর থানার পাঁচবেটিয়া গ্রামের বধূ রেখা মাইতির অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী তপন মাইতিকে দিন কয়েক আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
ঈদের অনুষ্ঠান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করল ভগবানপুর যুব সঙ্ঘ। ১৬তম বর্ষের অনুষ্ঠানটি হয় ভগবানপুর কমিউনিটি হলে। সংস্থার সম্পাদক সফিউল্লা মল্লিক জানান, সম্প্রীতি নিয়ে একটি আলোচনাসভা, পাঁচ হাজার বস্ত্র বিলি ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। উপস্থিত ছিলেন জেলার সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, ভগবানপুর-১ ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিক হরিহর বালা, বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য প্রমুখ। |
|