|
|
|
|
পূর্বে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ফের প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জনজীবন। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে জেলার পটাশপুর, ময়না, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, ভগবানপুর ও কাঁথির বিস্তীর্ণ এলাকার চাষ জমি জলের তলায়। শুক্রবার সকাল থেকে অঝোরে বৃষ্টি পড়ায় দোকান-পাটও বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। অনেক স্কুল-কলেজে তাড়াতাড়ি ছুটিও হয়ে যায়। দুর্যোগ মোকাবিলায় শুক্রবার বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ব্লকের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে প্রায় ১০ হাজার ত্রিপল দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা বলেন, “বৃষ্টির জলে বহু গ্রাম ফের জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরও ৫০ হাজার ত্রিপল ও ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল রাজ্য সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছে।”
জেলা প্রশাসন ও কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলার এগরা মহকুমায় ৯৬.৬ মিলিমিটার, কাঁথিতে ৮৭.২ মিলিমিটার এবং তমলুক-হলদিয়া মহকুমায় ৫০.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। কোলাঘাটের সিদ্ধা ১, ২, সাগরবাড়, পুলশিটা, খন্যাডিহিতে ধান-ফুল চাষ ও পাঁশকুড়ার হাউর, ঘোষপুর, গোবিন্দনগর এলাকায় ফুল-সব্জি চাষ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান, ভরা কোটালের জোয়ারে রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে মহিষাদলের মায়াচরে ৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মায়াচর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশুশিক্ষাকেন্দ্রে দু’টি ত্রাণ শিবির খুলেছে জেলা প্রশাসন।
অগস্ট মাসের টানা বৃষ্টিতে জেলায় ধান-পান-ফুল ও সব্জি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। পটাশপুর, ময়না, পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকে ধান চাষ, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট ব্লকের ফুল, সব্জি চাষ এবং তমলুকে পান চাষের ভালই ক্ষতি হয়। সব মিলিয়ে ২৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ও সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হয়েছে। জলমগ্ন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার কাঁচা বাড়ি। সপ্তাহ দু’য়েক আগের সেই বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ফের বৃষ্টিতে নাকাল পূর্ব মেদিনীপুরবাসী। |
|
|
|
|
|