|
|
|
|
মেসিতে মন নেই মেদিনীপুরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেসি-ম্যাজিকে মাতোয়ারা মহানগরী কলকাতা। ক’দিন ধরেই উত্তেজনার অন্ত নেই। অন্য দুই শহর মেদিনীপুর ও খড়্গপুর অবশ্য মেসি ম্যাচের দিনও নিরুত্তাপই রইল।
বছর খানেক আগের কথা। বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল উপলক্ষে সে দিন মেদিনীপুর-খড়্গপুরে ছিল উৎসবের মেজাজ। সকাল থেকেই পথে পথে জটলা। কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে নিয়ে বিস্তর তর্ক, চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালেও শহর জুড়ে ছিল একই উন্মাদনা। অথচ কলকাতায় আর্জেন্তিনীয় নায়ক লিওনেল মেসি পা রাখার পরেও হেলদোল দেখা গেল না দুই শহরে। এমনকী শুক্রবার মেসি-ম্যাচের দিনও সমান নিরুত্তাপ। বাড়িতে বাড়িতে টিভিতে চোখ রেখে বসে থাকা বা গুটিকয়েক ক্লাবে বড় টিভিতে খেলা দেখানোর বন্দোবস্তের বাইরে মেসি নিয়ে মেদিনীপুর-খড়্গপুরে তেমন উচ্ছ্বাস দেখা গেল না।
ফুটবল নিয়ে অবশ্য বরাবরই সরগরম এই দুই শহর। ব্রাজিল-আর্জেন্তিনা দুই শিবিরে বাগযুদ্ধও বরাবরের। সেই আর্জেন্তিনার নায়ক মেসি কলকাতায়, অথচ তার উত্তাপ এসে পৌঁছল না? কিন্তু কেন? অনেকে মনে করছেন, সবে ঈদ গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ছিল গণেশ চতুর্থী। আসছে দুর্গোৎসব। উৎসবের এই আমেজেই মেসি ম্লান। পাড়ার যে সব ছেলেরা সাধারণত খেলা নিয়ে মাতে, তারা সব পুজো প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। রেলশহর খড়্গপুরে তো গণেশ পুজোর রেশ কাটেনি। বিশ্বকর্মা পুজোরও দেরি নেই। এ সব নিয়ে ব্যস্ততার জেরেই মেসি-উৎসবে ভাটার টান। তবে সন্ধে নাগাদ আর্জেন্তিনা-ভেনেজুয়েলার খেলা দেখতে দুই শহরের ক্লাবগুলোতে বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন।
সদর শহরে মেদিনীপুরে এখন মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার দ্বিতীয় বিভাগীয় ফুটবল লিগ চলছে। বিকেলে খেলার মাঠেও এ দিন দর্শকদের উপস্থিতি ছিল কম। দুই শহরেই খেলার সরঞ্জামের দোকান থেকে কয়েকটি মেসি’র নাম লেখা নীল-সাদা জার্সি বিক্রি হয়েছে। খড়গপুরের সুরজিৎ বেরা, অশোক কাহার থেকে মেদিনীপুরের শেখ শাহাজাদা, প্রকাশ সাউয়ের মতো অনেকে টিভিতে চোখও রেখেছেন। তা সত্ত্বেও বারবার মনে হয়েছে, মেসিতে মোটেই মন নেই মেদিনীপুরের। |
|
|
|
|
|