|
|
|
|
| |
| ক্যাম্পাসে ‘আক্রান্ত’ |
| জেলাশাসকের কাছে নালিশ এসএফআইয়ের |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কলেজ ক্যাম্পাসেই সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই মর্মে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এসএফআই। সংগঠনের বক্তব্য, আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও সুরাহা হচ্ছে না। পুলিশ-প্রশাসন নির্বিকার।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে-কলেজে ইতিমধ্যেই ছাত্র সংসদের ভোট-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ ঢোকা বন্ধ করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা না-হলে ভোটের সময়ে কলেজ ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এসএফআই নেতৃত্ব। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডার কথায়, “সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা থেকেই স্পষ্ট, কলেজ ক্যাম্পাসগুলিতে পরিকল্পিত ভাবেই সন্ত্রাসের আবহ তৈরির চেষ্টা চলছে। শুধু আমাদের কর্মী-সমর্থকরাই নন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও তাদের বাহিনীর হাতে কলেজ কর্তৃপক্ষও আক্রান্ত হচ্ছেন।” |
 |
| ডিএম অফিসে এসএফআইয়ের জমায়েত। |
| শুক্রবার দুপুরে মেদিনীপুর কলেজের অদূরে জমায়েতের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। তবে সেখানে সংগঠনের কর্মীদের উপস্থিতি ছিল কম। এই পরিস্থিতির জন্যও অবশ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশিই কলেজে কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সন্ত্রাসকেই দায়ী করেন এসএফআই নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, সংগঠনের কর্মীদের জমায়েতে আসার পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। পরে জমায়েতস্থল থেকে মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছন এসএফআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা। লাগাতার স্লোগান চলতে থাকায় কালেক্টরেট-চত্বরে এক সময়ে ‘অস্থিরতা’ তৈরি হয়। পরে অবশ্য অবস্থা আয়ত্তে আসে। রাজ্যে পালাবদলের পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও তাদের সহযোগীরা জোর করে কয়েকটি কলেজের ছাত্র সংসদ ‘দখল’ করেছে অভিযোগ তুলে এসএফআইয়ের দাবি, জেলায় অন্তত ৭টি কলেজের ‘ছাত্র সংসদ’ গায়ের জোরে দখল করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি কলেজে সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এসএফআইয়ের বক্তব্য, ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতরা’ ঢোকার ফলেই অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। অবিলম্বে এ ক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করা উচিত। পুলিশ-প্রশাসনও দায় এড়াতে পারে না। সৌগতর কথায়, “সুবিচার পেতেই আমরা জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করি, উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
 |
|
|
