|
|
|
|
সুশান্তের চিকিৎসায় পক্ষপাত কি না তদন্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের চিকিৎসায় কোনও পক্ষপাতিত্ব ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সুধাংশুশেখর চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ওই তদন্তের রিপোর্ট সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য দফতরে জমা দিতে বলা হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালের যে-সব চিকিৎসক সুশান্তবাবুর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন, আজ, শনিবার তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে তদন্তকারী দল। শুক্রবার সিপিএমের এক দল নেতা জেলে সুশান্তবাবুর সঙ্গে দেখা করেন।
তদন্তকারীরা কী কী দেখবেন?
তদন্তকারী দলকে যে-সব বিষয় খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে, তার মধ্যে আছে:
• সুশান্তবাবুকে ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করার দরকার ছিল কি না।
• সিপিএমের ওই প্রাক্তন মন্ত্রীর জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের ব্যাপারে অকারণ দেরি করা হয়েছে কি না।
• অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির কোনও প্রয়োজন ছিল কি না ইত্যাদি।
সিআইডি-র হেফাজতে থাকার সময়েই, গত ১৩ অগস্ট রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করানো হয় সুশান্তবাবুকে। ১৭ অগস্ট সকালে তাঁকে হাসপাতাল থেকে বার করে ফের নিজেদের হেফাজতে নেয় সিআইডি। তার আগেই, ১৬ তারিখ রাতে তাঁকে হাসপাতালে থেকে ছুটি দেওয়ার ব্যাপারে চিকিৎসক এবং সিআইডি-র মধ্যে মতভেদ হয়। তাঁকে হাসপাতাল থেকে স্ট্রেচারে তুলে বার করে নিয়ে যাওয়া হবে, নাকি হাঁটিয়েই ভ্যানে তোলা হবে, বিরোধ ছিল তা নিয়েও।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তদন্তকারী দলে সুধাংশুবাবু ছাড়াও আছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদ্রোগের চিকিৎসক শান্তনু গুহ এবং স্বাস্থ্য (শিক্ষা) বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা অরূপ মৈত্র।
শুক্রবার আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে সুশান্তবাবুর সঙ্গে দেখা করেন রবীন দেব, দীপক দাশগুপ্ত-সহ সিপিএমের বেশ কিছু নেতা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ এবং প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়কেরাও। জেল সূত্রের খবর, সিপিএম নেতারা শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ জেলে পৌঁছন। মেদিনীপুর আদালতে জামিন মঞ্জুর না-হওয়ায় গত ১৩ দিন ধরে সুশান্তবাবু এই জেলে আছেন। সোমবার তাঁকে ফের আদালতে তোলা।
কারা দফতর সূত্রের খবর, যে-হেতু ওই প্রতিনিধিদলে বামফ্রন্টের প্রাক্তন মুখ্য সচেতক রবীনবাবু-সহ প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়ক এবং প্রাক্তন সাংসদ ছিলেন, তাই তাঁদের জেলারের ঘরে বসানো হয়। সেল থেকে সুশান্তবাবুকে আনা হয় তাঁদের কাছে। তাঁরা আধ ঘণ্টা সুশান্তবাবুর সঙ্গে কথা বলেন। বিকেলে সুশান্তবাবুর আইনজীবী সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায় পৃথক ভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। |
|
|
|
|
|