দক্ষিণ কলকাতা
উত্তম প্রয়াস |
সেজেছে উদ্যান |
জয়তী রাহা |
সেজেগুজে প্রস্তুত মহানায়ক উত্তমকুমার উদ্যান। প্রায় প্রস্তুত মুক্ত মঞ্চও। পুরসভার উদ্যোগে এই উদ্যান ও মুক্ত মঞ্চের সংস্কার করা হয়েছে।
উত্তমকুমারের গিরিশ মুখোপাধ্যায় রোডের বাড়ির কাছে পুরসভার ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের লেডিস পাকের্র পিছনে নয়ের দশকে তৈরি হয় মহানায়ক উত্তমকুমার উদ্যান। পুরসভার সূত্রে খবর, তখন এখানে খোলা মঞ্চ তৈরির পরিকল্পনা ছিল। তাই এই উদ্যানে চাতালের কিছু অংশে আচ্ছাদনের ব্যবস্থা ছিল। অভিযোগ, তার পরে উদ্যানটির ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। আচ্ছাদনের কিছু অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। চাতালটি ভাঙাচোরা হয়ে পড়েছিল। পরিচর্চার অভাবে গাছগুলির অবস্থাও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তৈরি হওয়ার পরে প্রথম দিকে ছোটখাটো অনুষ্ঠান হত। কিন্তু তার পরে সব বন্ধ হয়ে যায়।
|
|
দীর্ঘ দিন এই অবস্থায় পড়ে থাকার পরে এই পার্কের সংস্কার শুরু হয়। খোলা চাতালে মার্বেল বসানো হয়েছে। মঞ্চের উপরে এবং দর্শকাসনের অনেক অংশ ফাইবার গ্লাসের আচ্ছাদনে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। মঞ্চের পিছনে তৈরি হয়েছে গ্রিনরুম। তার পিছনে রয়েছে শৌচাগার। পার্কের অন্য অংশে বাহারি গাছ আর সুসজ্জিত আলোকস্তম্ভ বসানো হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, বিধায়ক সুব্রত বক্সীর উদ্যোগে তিন বছর আগে উদ্যানটির সংস্কার শুরু হয়েছিল। ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের তূণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণা নন্দী বলেন, “উদ্যানটির সার্বিক সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। মানুষের দাবি ছিল, পার্কে যাতে স্থানীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যায়। কাজ প্রায় শেষ। শুধু গ্রিনরুম থেকে মঞ্চে আসার পথে টিউবের আকারে আচ্ছাদন তৈরির কাজটুকু বাকি আছে।” উদ্যানটির সংস্কার হওয়ায় খুশি বাসিন্দারা। এলাকার সোমনাথ নন্দীর কথায়: “এর পরে রক্ষণাবেক্ষণ যাতে ঠিকমতো হয় তা পুরসভাকে লক্ষ রাখতে হবে। অনুষ্ঠান করার সময়ে পার্কটি যাতে নোংরা না হয় সে বিষয়েও সচেতন হতে হবে।” |
|
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (পার্ক ও উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “উদ্যানটি আগেই ছিল। নতুন করে সাজাতে বিধায়ক সুব্রত বক্সীর বিধায়ক তহবিল ও কলকাতা পুরসভার অর্থ ব্যয় হয়েছে। এটি উত্তমকুমারের প্রতি শহরবাসীর শ্রদ্ধার্ঘ্য। উত্তমকুমারের জীবনের কিছু দুর্লভ ছবি খোলা মঞ্চের কাছে প্যানেলে প্রদর্শিত করার পরিকল্পনা আছে। এ বিষয়ে উত্তমকুমারের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হবে।”
|
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য। |
|