মিনিটে মিনিটে মেসি
ম্যাচ শুরুর তিন-চার ঘণ্টা আগে থেকেই এ দিন শহর ছিল যুবভারতী-মুখী। কারও গায়ে জড়ানো আর্জেন্তিনার পতাকা, কেউ আবার মুখে লাগিয়েছেন আর্জেন্তিনার নীল। যাঁর জন্য এই উন্মাদনা, সেই মেসি সব জল্পনায় জল ঢেলে এ দিন খেললেন পুরো নব্বই মিনিটই। এবং মাতালেন স্কিল ও টাচের ভূবন ভোলানো ফুটবলে! কখনও একাই পাঁচ জনকে কাটিয়ে খুলে দিচ্ছেন গোলের দরজা, কখনও তাঁর মাপা ফ্রি-কিক গোঁত্তা খেয়ে অল্পের জন্য আছড়ে পড়ছে সাইড নেটে। আর মেসি বল ধরলেই গ্যালারিতে সমুদ্রের গর্জন। নিজে গোল করলেন না। কিন্তু করালেন। তাঁর নিখুঁত কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে গেলেন অতামেন্দি।
গোলের পর অতামেন্দিকে নিয়ে নীল-সাদার উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স

ম্যাচের প্রতি মিনিটে মেসি-ম্যাজিকের হাল-হকিক্কত ছিল এই রকম:
১ মিনিট: প্রথম বল ধরলেন। এক জনকে কাটিয়ে বেরনোর সময় বল বিপক্ষের পায়ে।
৩ মিনিট: শরীরের দোলায় দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে দেওয়া।
৫ মিনিট: সেন্টার সার্কেলের গা থেকে দুরন্ত স্কিলে এক জনকে ছিটকে দেওয়া। প্রথম মেসি ম্যাজিক।
৬ মিনিট: বক্সের বাইরে বাঁ দিক থেকে নেওয়া ফ্রি কিক ওয়ালের গায়ে লেগে ফিরে আসা।
৯ মিনিট: তিন ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে ডিফেন্স চেরা ফাইনাল পাস।
১৮ মিনিট: সেন্টার লাইনের একটু ওপর থেকে পর পর পাঁচ জনকে কাটিয়ে ফাইনাল পাস। বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
২১ মিনিট: ধাক্কা খেয়ে রেফারিকে প্রশ্ন।
২৪ মিনিট: দুই ডিফেন্ডারকে গায়ে নিয়ে ফাইনাল থ্রু।
৩০ মিনিট: কর্নার প্রথম বারে।
৩১ মিনিট: বক্সের মধ্যে স্কিলের ফুলঝুরি। তিন জনকে কাটিয়ে শট গোলকিপারের গায়ে।
৩৩ মিনিট: বক্সের এক গজ বাইরে থেকে নেওয়া ফ্রি কিক ওয়ালে লেগে বাইরে।
৩৬ মিনিট: বক্সের ডান দিক করে টাচলাইন বরাবর নেওয়া সোয়ার্ভিং ফ্রি কিক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বাইরে।
৩৭ মিনিট: কর্নারে গোলকিপারের হাতে লেগে বাইরে।
৪৫ মিনিট: দুটো পর পর কড়া ট্যাকল। মাটিতে ছিটকে পড়ে যান। উঠে ফের রেফারিকে প্রশ্ন।
৫১ মিনিট: দ্বিতীয় পোস্টে কর্নার। ডিফেন্স হেড করে বার করে দেয়।
৫৩ মিনিট: ৩৫ গজ থেকে নেওয়া ফ্রি কিক লব করে বক্সে। কিন্তু কেউ ছুঁতে পারেননি।
৬২ মিনিট: ৩০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের অসাধারণ ফ্রি কিক। ডিফেন্সকে দাঁড় করিয়ে অল্পের জন্য পাশের নেটে।
৬৫ মিনিট: বক্সের ৩৫ গজ বাইরে থেকে ঠিকানা লেখা লব। ইগুয়াইনের কাছে বল। ভলি চলে যায় বারের উপর দিয়ে।
৬৭ মিনিট: প্রথম পোস্টে মাপা কর্নার। প্রথম পোস্টেই মেসির কর্নারে হেড দিয়ে গোল করে যান অতামেন্ডি।
৭৭ মিনিট: সেন্টার লাইন থেকে একক দৌড়। ওয়ান টু ওয়ান খেলে দু’জনকে কাটিয়ে বক্সের মধ্যে থেকে জিরো ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে শট। গোলকিপারের গায়ে লেগে বাইরে।
৭৮ মিনিট: কর্নার নিতে এসে মেসি মেসি চিৎকার শুনে দর্শকদের দিকে হাত নাড়ান।
৭৯ মিনিট: বক্সের বাইরে থেকে সোজা শট গোলকিপারের হাতে।
৮২ মিনিট: বক্সের একটু পিছন থেকে টেনে ফেলে দেওয়া হয়। মাঠে হাঁটু গেড়ে বসে মেসি।
৮৪ মিনিট: একক দৌড়ে বক্সে ঢোকার মুখে ডিফেন্ডারদের চার্জ। মেসি ছিটকে গিয়ে বিলবোর্ডের কাছে। এক মিনিট চিৎ হয়ে শুয়ে।
৮৬ মিনিট: গরম সহ্য করতে না পেরে খেলা সাময়িক বন্ধ। মাথায়-মুখে জল দিলেন মেসি।
৯০ মিনিটের শেষে: মেসি খালি গায়ে। কাঁধে ভেনেজুয়েলার জার্সি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.