টাকা দিতে নারাজ আইএফএ
মহা-ম্যাচের ময়লা ধুতে পৃথক বিল পুরসভার
র্শক এক লক্ষ কুড়ি হাজার।
শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ৮০।
অর্থাৎ প্রতি দেড় হাজার মানুষের জন্য একটি শৌচাগার! তা-ও শুধু খেলার দুই অর্ধের মধ্যে মাত্র ১৫ মিনিটের বিরতিতে তা ব্যবহার করার কথা! খেলার শেষে শৌচাগারের অবস্থা কী হতে পারে, সহজেই অনুমেয়!
অভিযোগ, যে-হেতু পর্যাপ্ত শৌচাগারের অভাব, তাই শৌচকর্ম সেরে নেওয়া হয় যুবভারতী স্টেডিয়ামের যত্রতত্র।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের এই শৌচাগার ও বৃহত্তর শৌচাগার সাফাইয়ের দায় চাপে বিধাননগর পুরসভার উপরে। পরিষ্কার করতে হয় গোটা পাঁচিল। গণ-শৌচকর্মের দাপটে পাঁচিলের অবস্থা এমন হয় যে, প্রচণ্ড গতির জলের ‘জেট’ ব্যবহার করে তা পরিষ্কার করতে হয়। বড় খেলার পরে দুর্গন্ধের জন্য এর আগে পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন পাঁচিলের লাগোয়া পূর্বাচল হাউসিংয়ের বাসিন্দারাও।
এই অবস্থায় মেসি-ম্যাচের জন্য ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএফএ-র কাছে আলাদা খরচের বিল পাঠিয়েছে পুরসভা। সেই বিলের অঙ্ক প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। স্টেডিয়ামের বিভিন্ন পরিষেবা এবং আনুষঙ্গিক খাতে পুরসভার কাছে ২০ লক্ষ টাকা গচ্ছিত রাখার জন্য ১৮ অগস্ট আইএফএ-কে চিঠি দিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেই চিঠির কোনও জবাব না-আসায় পুরসভা ওই বিল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
দলের জার্সি হাতে আর্জেন্তিনার ভক্তরা। ছবি: সুদীপ আচার্য
পুরসভা সূত্রের খবর, শুধু শৌচাগারই নয়। ম্যাচের আগে ও পরে মোট পাঁচ দিন ধরে ৪০ জন সাফাইকর্মীকে দিয়ে ক্রীড়াঙ্গন পরিষ্কার করার কথা। তাঁদের পারিশ্রমিক হিসেবে রয়েছে ৪০ হাজার টাকা। শুক্রবার খেলার পরে আজ, শনিবার সকালে স্টেডিয়াম সাফাইয়ের জন্য কমপক্ষে ১০০ জন শ্রমিক লাগাতে হবে বলে পুরসভার এক অফিসার জানান। এ ছাড়াও দু’দিন ধরে ক্রীড়াঙ্গনের ভিতরের রাস্তা পরিষ্কার, জঞ্জাল সাফাই, সারা দিন চারটে পাম্প চালিয়ে মাঠে জমে থাকা জল বার করা, শৌচাগারের নিকাশি পরিষ্কার রাখারও আলাদা খরচ রয়েছে। রয়েছে পানীয় জল সরবরাহের খরচ। খেলার সময় মাঠের ভিতরের দিকে বিভিন্ন সংস্থার যে-বিজ্ঞাপন থাকবে, নিয়ম অনুসারে তাদেরও তার ভাগ পাওয়ার কথা বলে পুরসভার দাবি। সেই সংক্রান্ত বিলও পাঠানো হচ্ছে।
কিন্তু পুরসভার সেই সব বিল নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। আইএফএ বলছে, তারা টাকা দেবে কী ভাবে? পুরসভা বলছে, টাকা না-দিলে বাধ্য হয়েই পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হবে। শুক্রবার খেলা শুরুর কিছু আগে আইএফএ-র সম্পাদক উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “আইএফএ কী করে টাকা দেবে? আমরা তো শুধু সমন্বয়ের কাজটা করছি। আর কিছু পরেই খেলা শুরু হবে। খেলার পরে না-হয় এই নিয়ে আলোচনা করা যাবে।”
বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কথায়, “এই ম্যাচ নিয়ে আমাদের সঙ্গে আইএফএ-র যে-বৈঠক হয়েছিল, সেখানেই তো বলা হয়েছিল যে, পরিষেবার জন্য টাকা দিতে হবে। আমাদের নিজেদের কর্মী দিয়ে তো সেই পরিষেবা দেওয়া যাবে না। মেসি-ম্যাচের জন্য বাইরে থেকে শ্রমিক ভাড়া করতে হয়েছে আমাদের। সেই টাকা কে দেবে? আইএফএ ছাড়া আমরা আর কাকে লিখব?” পুরসভার চেয়ারম্যান-পারিষদ (জঞ্জাল) দেবাশিস জানা বলেন, “আইএফএ যদি টাকা না-দেয়, তা হলে এ বার থেকে খেলার পরে পুরসভার পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব আমরা।”
তা হলে কি প্রতিটি বড় ম্যাচেই টাকা চায় পুরসভা? নাকি এ বারের ম্যাচ থেকেই চাইতে শুরু করল?
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, এমনিতে জঞ্জাল তোলার জন্য পুরসভার সঙ্গে যুবভারতীর একটি চুক্তি রয়েছে। ২০০৬ সালের সেই চুক্তি অনুযায়ী এ-পর্যন্ত পুরসভার প্রাপ্য প্রায় ছ’লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৭০ হাজার টাকা। অথচ
প্রতিটি বড় ম্যাচের সময়েই লোক লাগিয়ে পুরসভাকে গোটা স্টেডিয়াম পরিষ্কার করতে হয়। পুরসভার এক অফিসারের কথায়, “মাঠ সংলগ্ন নিকাশি ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণ না-করলে নোংরা জল জমে তা মাঠেও উঠে আসতে পারে। এই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়মিত খরচ হয় পুরসভার।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.