টুকরো খবর

খন্দপথে বাসে পিষ্ট বালিকা
ফি বছর বর্ষার আগে প্রচুর টাকা ব্যয়ে রাস্তা সারে। বর্ষা শেষ হতে না হতেই ফের তৈরি হয় বিপজ্জনক গর্ত। ‘মরণফাঁদে’ প্রাণ হারান মানুষ। শুক্রবার হাওড়ার ফোরশোর রোডে ভাঙা রাস্তায় বাসে পিষ্ট হয়ে এক বালিকার মৃত্যু ফের তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ মামার সঙ্গে সাইকেলে ঘুসুড়ির জে এন মুখার্জি রোডে মামার বাড়ি যাচ্ছিল ফোরশোর রোডের বাসিন্দা প্রথম শ্রেণির ছাত্রী মুন্নি সাউ। ভাঙাচোরা ফোরশোর রোডের গর্তে সাইকেলের চাকা পড়ে গেলে ভাগ্নিকে নিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়েন মুন্নির মামা পঙ্কজ সাউ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তখনই উল্টো দিক থেকে তীব্র গতিতে আসা মেদিনীপুরগামী একটি বাস পিষে দেয় ছ’বছরের মুন্নিকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। সাইকেল নিয়ে রাস্তার বাঁ দিকে ছিটকে পড়ায় বেঁচে যান পঙ্কজ। ঘটনার পরেই বাস ফেলে পালান চালক। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার পরে পঙ্কজবাবুকে স্থানীয়েরাই হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পঙ্কজবাবু বলেন, “মেয়েটা কিছু দিন ধরেই মামার বাড়ি যাওয়ার বায়না করছিল। তাই আজ ওকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল, বুঝতে পারছি না।” ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা ফোরশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়।

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে প্রৌঢ় ধৃত উলুবেড়িয়ায়
স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উলুবেড়িয়ার লতিবপুর গ্রামের বাসিন্দা সুনীল দাস নামে ওই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৯ অগস্ট ভোরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সুনীলবাবুর স্ত্রী বেলা দাসকে (৫৫) উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই গত মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দম্পতির তিন ছেলে এবং এক মেয়ে। মেয়ে বিবাহিত। ছেলেরাও অন্যত্র থাকেন। সুনীলবাবু মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে গাড়ি-চালকের কাজ করেন। বছর আটেক আগে তিনি লতিবপুরে বাড়ি করেন। প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তিনি বাড়ি ফিরতেন। এ নিয়ে বাড়িতে অশান্তিও হত। সেই অশান্তির কারণেই তিনি স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন করেন বলে ছেলেমেয়েরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুনীলবাবুর বাড়িতে দু’টি কুকুর এবং ৮টি খরগোশ ছিল। শুক্রবার সকালে বন্ধ বাড়িটি থেকে কুকুরদের ডাক শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বন দফতর এবং পুলিশকে খবর দেন। দুপুরে বন দফতরের দুই কর্মী এসে পুলিশ ও গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে বাড়িটির তালা ভেঙে কুকুর দু’টিকে ছেড়ে দেন, খরগোশগুলিকে উদ্ধার করেন।

কংগ্রেস পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা পাঁচলায়
কংগ্রেস শাসিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার পাঁচলার বন হরিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১২। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৫ এবং ১টি করে। সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৩ এবং ২টি করে। নির্দল সদস্য ১ জন। তৃণমূল এবং নির্দল সদস্যের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করেছিল কংগ্রেস। প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন আসাদুর রহমান। বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচলার বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ে। নির্দল সদস্য ইব্রাহিম মল্লিকের আনা ওই অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন কংগ্রেসের ২ জন, সিপিএমের ২ জন এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ জন সদস্য। এছাড়াও প্রস্তাবটিতে সই করেন একমাত্র তৃণমূল সদস্যও। আগামী ১২ দিনের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে অনাস্থা প্রস্তাবটির উপরে ভোটাভুটি হবে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ইব্রাহিম মল্লিক বলেন, “কথা ছিল প্রধান সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই উন্নয়নের কাজ করবেন। কিন্তু তা তিনি না-করে নিজের ইচ্ছামতো চলেছেন। এতে উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে। তার ফলেই আমরা প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।” অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান আসাদুর রহমান বলেন, “উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই কাজ করেছি। কেউ এই গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করলেই বুঝতে পারবেন। আসলে কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থ করতেই আমাকে সরানোর জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। সেই কারণেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।”

জুটমিল বন্ধ শ্রীরামপুরে
পুজোর মুখে ফের শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিল বন্ধ হয়ে গেল। কর্তৃপক্ষ শুক্রবার মিলের গেটে সাসপেনশান অব ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেন। এর ফলে মিলের অন্তত পাঁচ হাজার শ্রমিক বেকার হলেন। সম্প্রতি মিলের শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে চুক্তির পর দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে থাকা মিলটি খোলে। ওই চুক্তির বিরোধীতা করে সিটু। তাঁরা নানা দাবিতে মিলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কর্তৃপক্ষের তরফে আশা ছিল মিলের দরজা খুললে আন্দোলনরত শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবেন। কিন্তু মিল খোলার পরও নানা কারণেই মিলের পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছিল না। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন ছিল। ব্যাহত হচ্ছিল উৎপাদন। শেষ পর্যন্ত ফের এ দিন মিলে নোটিস ঝোলান কর্তৃপক্ষ। তবে ওই ঘটনা নিয়ে এ দিন সেখানে নতুন করে অশান্তি হয়নি। তবে পুজোর মুখে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই শ্রমিক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত
মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার মালা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম গোরাচাঁদ ঘরামি (৫০)।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.