|
|
|
|
গোঘাটে ফের অশান্তি, আহত ৭ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত গোঘাটে। বৃহস্পতিবার রাতে সেনাই গ্রামে ফের সিপিএম-তৃণমূল গোলমালের জেরে এক মহিলা-সহ আহত হলেন সাত জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
গত বুধবার খাদ্য-আন্দোলনের শহিদ-স্মরণ উপলক্ষে সিপিএমের পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে। দু’দিনে খাঁদিঘি এবং কাঁঠালি গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হওয়া ছাড়াও অন্তত ১০টি গ্রামে অশান্তি হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ সেনাই গ্রামে গোলমালের সূত্রপাত। সিপিএমের অভিযোগ, তাদের দলীয় সমর্থক হাবল রায়কে পতাকা তোলার দায়ে মারধর করে তৃণমূল। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। ওই সিপিএম সমর্থক তৃণমূলের দশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সেখান থেকে ফিরতেই সেনাই বাজারে সিপিএমের লোকজন বেশ কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক এবং তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। প্রহৃত অণিমা রায়-সহ পাঁচ তৃণমূল সমর্থককে রাতেই আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ছাড়াও, বিকালে রিয়া গ্রামে কাঞ্চন রায় এক সিপিএম নেতাকে রাস্তায় মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের অত্যাচারে তাদের অন্তত দেড়শো কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া। দলীয় পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করেই অশান্তি বাধাচ্ছে তৃণমূল। গোঘাটের সিপিএম নেতা ভাস্কর রায় বলেন, “শহিদ-স্মরণে তোলা দলীয় পতাকা বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল জোর করে নামিয়ে দিচ্ছে। অনুষ্ঠানে যে সব সাধারণ মানুষ এসেছিলেন, তাঁদের উপরেও হামলা হচ্ছে।” অভিযোগ উড়িয়ে গিয়ে তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল বলেন, “আমরা কোথাও ওদের পতাকা নামাতে যাইনি। ওদের কোনও কাজে বাধা দেওয়া হয়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওরাই আমাদের উপরে হামলা চালাচ্ছে। সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে।”
গোঘাটে শান্তিশৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছেন মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী। তিনি বলেন, “ঘরছাড়াদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।” অন্য দিকে, আরামবাগ শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শুক্রবার বিকালে জখম হন ৫ জন। তাঁদেরও আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলে নতুন আসা কর্মীদের সঙ্গে পুরনো কর্মীদের বনিবনা না-হওয়ায় অশান্তি হয়। |
|
|
|
|
|