পুলিশের দাবি নস্যাৎ করে জিএনএলএ জানাল, এইচএনএলসি সংগঠনের সেনাধ্যক্ষ মারা যাননি। সম্প্রতি মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছিল, সিলেটের কোনও একটি এলাকায় এইচএনএলসি সেনাধ্যক্ষ ববি রিয়াগাং মারউইনকে আক্রমণ করে কয়েকজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। ওই হামলায় ববির মৃত্যু হয়। কিন্তু জিএনএলএ জঙ্গি সংগঠনের প্রচার সচিব বিকডট নিকজাং মারাক দাবি করেছেন, বাংলাদেশে এইচএনএলসি সংগঠনের সঙ্গে তাঁদের ভালই যোগাযোগ রয়েছে। তাঁরা নিশ্চিত, ববি মারা যাননি। তিনি সিলেট থেকে ফিরে এসেছেন। আপাতত একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জিএনএলএ-র অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বাংলাদেশ সফরের আগে, ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দারা নিজেদের তৎপরতা দেখাতেই ভুল খবর ছড়িয়ে দিয়েছে। দুটি সংগঠনের নেতা ও প্রতিনিধিদের মধ্যে নিয়মিত মত বিনিময়, দেখা সাক্ষাৎ হয়। ববির বিষয়টি নিয়ে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ভাবে, তিল থেকে তাল বানানো হয়েছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা বলেন, “ঘটনাটি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে বিশদ রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য সরকার।”
এ দিকে, পশ্চিম গারো পাহাড়ে নির্দোষ যুবকদের হত্যা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে জিএনএলএ। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জিএনএলএ সংগঠনের সেনাধ্যক্ষ সোহন ডি শিরা জানান, ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, রাজ্য সরকার এএনভিসি সংগঠনের ‘গুপ্তহত্যা’র বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু না করলে ৯ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর অবধি বন্ধ ডাকা হবে। এএনভিসি আপাতত সংঘর্ষবিরতে রয়েছে। জিএনএলএর বিরুদ্ধে এএনভিসিকে ব্যবহারের কথাও ভাবছে মেঘালয় সরকার। জিএনএলএ-র দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবেই এএনভিসিকে অস্ত্র রাখতে দিচ্ছে সরকার। সেই অস্ত্রই নিরীহ গারোদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে এএনভিসি। অন্য দিকে, গত কাল, মণিপুরে ইউএনএলএফ-এর ৪ জঙ্গি, কেওয়াইকেএল ও এনএসসিএন (কে) সংগঠনের এক জন করে জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। তারা একটি .৩০৩ রাইফেল, ৩টি ৯ মিলিমিটার পিস্তল, ২টি গ্রেনেড, গুলি, রেডিও সেট জমা দিয়েছে।
মাদক খাইয়ে লুঠ। শিলচরের সংবাদদাতা জানান: শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা বিহার-উত্তরপ্রদেশ নয়, মাদকচক্র এবার সক্রিয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও। ছেলের চিকিৎসার জন্য শিলচরে যাচ্ছিলেন বাবা। মাদক চক্রের ফাঁদে পড়ে ট্রেনে সর্বস্ব খোয়ালেন তিনি। দুর্বৃত্তরা হাতিয়ে নিয়ে গেছে ওই যাত্রীর সঙ্গী তাঁর দুই নিকটাত্মীয়ের টাকাকড়িও।
শিলচর জিআরপি-র ইনচার্জ মাধাই সিংহ জানান, নগাঁও জেলার লঙ্কার বাসিন্দা ইসমাইলউদ্দিনের ৬ বছরের ছেলে ইমরান আলির বাঁ হাত ভেঙেছে বেশ ক’দিন আগে। তার চিকিৎসার জন্য কাল রাতে পিতাপুত্র লামডিং-শিলচর কাছাড় এক্সপ্রেসে চাপেন। সঙ্গে দুই নিকটাত্মীয় ইব্রাহিম আলি এবং মইনউদ্দিন। ভোরে হারঙ্গাজাও স্টেশনে তাঁরা প্রথমে আনারস খান। পরে হকারের কাছ থেকে চা কেনেন। চা পানের পরই তাঁরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। শিলচর স্টেশনে এসে ট্রেন পৌঁছলে তাঁদের জ্ঞান ফেরে। তখনই ধরা পড়ে, তিন জনের সঙ্গে থাকা সমস্ত টাকাপয়সাই হাতিয়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অনুমান, চা-হকার বা হকারের চেনা কোনও প্রতারক তাঁদের মাদক দ্রব্য খাইয়ে সব নিয়ে গিয়েছে।
ইনচার্জ শ্রীসিংহ পরে চার জনকেই শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। কারণ, তাঁদের তখনও নেশাজনিত অসুস্থতা কাটেনি। নেশার বেশি প্রভাব পড়ে শিশুটির উপর। শ্রীসিংহ জানান, বিকেলেও ঘুম ভাঙছে না তার। ডাকাডাকি করলে, চোখ খুলে আবার ঘুমিয়ে পড়ছে। নেশার ঘোর এখনও না কাটলেও ছেলের চিকিৎসার কী হবে তা নিয়ে এর মধ্যেই দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন ইসমাইল। |