কোচির পরে মুম্বই। ফের রানওয়ে থেকে পিছলে গেল বিমান। তবে এ বারেও বড় কোনও বিপদ ঘটেনি। প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ৯৩ জন যাত্রী ও ১১ জন বিমানকর্মী। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দু’টি বিমান দুর্ঘটনা। যা থেকে বড় বিপর্যয় হতে পারত। সোমবার কোচিতে প্রবল ঝড়বৃষ্টির মধ্যে নামতে গিয়ে গাল্ফ এয়ারের বিমানটি রানওয়ে থেকে পিছলে যাওয়ার পরও যে ভাবে বেঁচে যায়, এ দিনও প্রায় একই ভাবে বাঁচল ইস্তানবুল থেকে মুম্বইগামী তুরস্ক বিমান সংস্থার বিমানটি।
ভোর চারটে নাগাদ মুম্বই বিমানবন্দরে নামে তুরস্ক এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস ৩৪০-৩০০ বিমানটি। কিন্তু তার পরেই ঘটে বিপর্যয়। নামার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটি রানওয়ে থেকে পিছলে যায়। তবে কপালজোরে রানওয়ের বাইরে কাদায় আটকে যায় সেটি। সেই সময় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বস্তুত, তুরস্ক এয়ারলাইন্সও প্রবল বর্ষণকেই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করছে। ইস্তানবুল থেকে একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির জন্যই রানওয়ে থেকে বিমানটি পিছলে গিয়েছে। কিন্তু এই নিয়ে মুম্বই বিমানবন্দর বা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ, কেউই কিছু বলেনি। ডিজিসিএ-র ডিরেক্টর ভরত ভূষণ জানিয়েছেন, কেন এ রকম হল, তা খতিয়ে দেখা হবে। |
কাদা থেকে বিমানটিকে উদ্ধারের তোড়জোড়। মুম্বই বিমানবন্দরে শুক্রবার। এএফপি |
তুরস্ক এয়ারলাইন্স অবশ্য জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তে ডিজিসিএ-র সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবে তারা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিমানটি কাদায় আটকে যাওয়ার পরে তৎপরতার সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। কেউ জখমও হননি। প্রধান রানওয়ের কাছে ‘র্যাপিড ট্যাক্সিওয়ে’র পাশে বিমানটি কাদায় আটকে যায়। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ওই রাত আটটা পর্যন্ত প্রধান রানওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কাদায় বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার আটকে যাওয়ায় বিমানটিকে বের করতে আনতে বেশ সময় লাগে। রাত আটটা পর্যন্ত বন্ধ ছিল প্রধান রানওয়ে। তাই দিনভর ব্যাহত হয়েছে বিমান চলাচল।
গত সোমবার কোচির দুর্ঘটনায় সাত জন আহত হয়েছিলেন। পরে ডিজিসিএ জানায়, বৃষ্টিতে বা ভেজা রানওয়ে বিমান নামানোর ক্ষেত্রে যে নিয়ম রয়েছে, তা মানা হয়নি বলেই এই দুর্ঘটনা। |