পূর্বস্থলীর হামিদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করল পুলিশ। দিন দু’য়েক আগে ওই গ্রামের দুষ্কৃতী ফরোজ শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে পূর্বস্থলীর পুলিশ আরও তার দলের আরও কয়েক জন দুষ্কৃতীর সন্ধান পায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আচমকা অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে রাজু খান ও কেতাবুল শেখকে। বর্ধমানের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানান, পূর্বস্থলীর হামিদপুর গ্রামে ওই দুষ্কৃতীদের ডেরায় অভিযান চালিয়ে দেশি স্টেনগান, ১টি দোনলা বন্দুক, ৫টি একনলা বন্দুক, ১টি মাস্কেট, একটি দেশি ৯ এমএম পিস্তল, দু’টি পাইপগান, ৫ কিলোগ্রাম বোমার তৈরির মশলা ও মোট ৮৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের জেরা করে স্থানীয় একটি গুলি তৈরি কারখানার সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, “আপাতত পূর্বস্থলীর কয়েকটি গ্রামে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।” |
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে হামিদপুরের সইফুল শেখকে দলবল-সহ গ্রেফতার করেছিলেন পূর্বস্থলী থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই বারও উদ্ধার হয়েছিল অনেক অস্ত্র ও গুলি-বারুদ। সইফুল ধরা পড়ে যাওয়ার পরেই তার বিপক্ষের আমানুল্লার দল হামিদপুরে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের দাপটে গ্রামের মানুষ রীতিমতো ভয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন।
আমানুল্লার এক সময়ের ‘গুরু’ তারণ শেখ অবৈধ মাটি কাটার লভ্যাংশ চাইছিলেন। এর মধ্যে ভাগীরথীর পাড়ে মাটি মাফিয়ারা প্রচুর মাটি কেটে নেওয়ার ফলে নদীবাঁধের বিপদ ঘনিয়ে ওঠে। শেষে তারণ শেখ, তার স্ত্রী ও ছেলেকে কাটোয়ার গাজিপুরের একটি ইঁটভাটায় ডেকে নিয়ে গিয়ে আমানুল্লার দল প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করে অভিযোগ। আমানুল্লাকে ধরা এখনও না গেলেও ওই দলের ব্যবহার করা আগ্নেয়াস্ত্রের সিংহভাগই আটক করা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। |