৯৮ কাঠা জমি। অনেকটাই দখল হয়ে গিয়েছে। কোথাও দোকানপাট গড়ে উঠেছে। কোথাও ঝুপড়ি। কোথাও রান্নার গ্যাস বিক্রি চলছে। মোটামুটি এমন দশা এনবিএসটিসির মালবাজার ডিপোর। শনিবার পরিদর্শনে গিয়ে যা দেখে হতভম্ব হয়ে যান সংস্থার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সঙ্গে সঙ্গেই নাগরাকাটার বিধায়ক যোসেফ মুণ্ডা ও মালবাজারের মহকুমাশাসক দেবযানী ভট্টাচার্যকে সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। অফিসার-কর্মীদের সঙ্গেও কতা বলেন চেয়ারম্যান। জমি উদ্ধারের কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দেন তিনি। চেয়ারম্যান বলেন, “ডুয়ার্সে পর্যটকদের ঢল নামছে। এনবিএসটিসি পিছিয়ে থাকবে এটা হতে পারে না। মালবাজারের এনবিএসটিসির ডিপোকে মডেল ডিপোয় রূপান্তিত করা হবে। এখন থেকে ডুয়ার্সের ছোট জনপদগুলিতে সংস্থার বাস চালিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর পরিকল্পনার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।” সংস্থা সূত্রের খবর, বতর্র্মানে ওই রুটে ২টি বাস চলাচল করে। মালবাজার থেকে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি। ডিপোর দ্বিতল ভবনটিরও বেহাল অবস্থা। যেকোনও সময় সেটা ভেঙে পড়তে পারে। ডিপোর একটি নতুন ভবন তৈরি করার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। ১৯৯৬ সালে ওই নতুন ভবনের ঘটা করে শিলান্যাস হয়। এই সব দেখে স্তম্ভিত চেয়ারম্যান। তিনি জানান, শুক্রবার মহাকরণে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের পৌরহিত্যে পর্যটন নিয়ে বৈঠক হয়। হাজির ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী সুব্রত বক্সিও। ওই বৈঠকে মালবাজার ডিপোর কথা ওঠে। চেয়ারম্যানের কথায়, “ডুয়ার্সের পর্যটন প্রসারের কতা মাথায় রেখেই মালবাজার ডিপোর গুরুত্ব বাড়ানো হচ্ছে।” সেই সঙ্গে কাজকর্ম যাতে দ্রুত হয় তা দেখার জন্য নাগরাকাটার বিধায়ক যোশেফ মুন্ডাকে দেখতে বলেন চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথবাবু। তিনি ঘোষণা করেন, আগামী সোমবার সকাল ৭ টা থেকে মালবাজার শহর পরিক্রমা করে শিলিগুড়ি যাওয়ার বাসটি চলবে। ট্রেন যাওয়ার আগেই এই বাসটি চালানোর নির্দেশ দেন তিনি। ওই বাসটি আগে সকাল ৮ টায় মালবাজার থেকে ছাড়ত। নিউ মালবাজার থেকে প্যাসেঞ্জার ও ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস থাকায় বাসটিতে যাত্রী কম হত। এই সমস্যা এড়াতে বাসটিকে ৭ টায় চালানো হবে। |