জনসংযোগে খামতি থাকা দলের যে সমস্ত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁদের সরিয়ে নতুন মুখ আনার ব্যাপারে উদ্যোগী কোচবিহার জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক। দলের দূর্গ বলে চিহ্নিত দিনহাটাতেই প্রাথমিক ভাবে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বুড়িরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান বদল হয়েছে। দিনহাটা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বীরেন রায়কেও সরানোর ব্যাপারে দলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহের বক্তব্য, “বামফ্রন্টের পরাজয়ের অন্যতম কারণ জনসংযোগে ঘাটতি। সে জন্যই আমাদের দলের টিকিটে জয়ী প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মতো প্রশাসনিক পদে রয়েছেন এমন জনপ্রতিনিধিদের ভুমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই পদে নতুন মুখ আনা হবে। তবে বুড়িরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং দিনহাটা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সময় দিতে না-পারায় নিজেরাই দায়িত্ব ছাড়তে চেয়েছেন।” এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে বুড়িরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন ফরওয়ার্ড ব্লকের রীতা রায়। শিক্ষিকার চাকরি এবং দিনহাটায় মেয়ের পড়াশোনার ব্যাপারে ব্যস্ত থাকায় দলের কাজে সময় দিতে পারছিলেন না বলে তিনি প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য দলের কাছে আর্জি জানান। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন প্রধান হচ্ছেন লিপিকা বর্মন। পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি বীরেনবাবু পারিবারিক সমস্যায় ব্যস্ত থাকায় প্রসাসনিক কাজে সময় দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। দলের তরফে বীরেনবাবুর আর্জি মঞ্জুর করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে জেলায় ১২ পঞ্চায়েত সমিতি এবং ১২৮ পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং ৪০ পঞ্চায়েতের প্রধান ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলে ছিল। বিধানসভা নির্বাচনের পরে ৮ প্রধান দলবদলে তৃণমূল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। ৩২ আসনের দিনহাটা-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ফরওয়ার্ড ব্লক ১৬, সিপিএমের ১১ ও তৃণমূলের ৫ সদস্য। পঞ্চায়েত ভোটের পর বীরেনবাবু সভাপতি পদ সামলাচ্ছিলেন। ছেলের অসুস্থতার জেরে তিনি মানসিক ভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছেন। সিতাইয়ের কংগ্রেস বিধায়ক কেশব রায়ের বক্তব্য, “বীরেনবাবুর স্ত্রীও প্রধান ছিলেন। তাঁদের কেউ দুর্নীতিতে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। মান বাঁচাতে আগেভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” |