পুরুলিয়া ২ ব্লকের দুমদুমি গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান-সহ সাত সদস্য যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। দল ছেড়েছেন ওই ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি হেমন্ত রজকও। পুরুলিয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হেমন্তবাবু এবং ওই সমিতির আর এক কংগ্রেস সদস্য রাজেশ বাউরি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
রবিবার পুরুলিয়া শহরে হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে আনুষ্ঠানিক ভাবে সভা করে তৃণমূল যোগ দিয়েছেন তাঁরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। হেমন্তবাবুর নেতৃত্বেই এ দিন শতাধিক কংগ্রেস কর্মীও তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে ওই ব্লকে সাংগঠনিক দিক থেকে কংগ্রেসের কিছুটা ক্ষতি হল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও কংগ্রেস নেতা বিভাসরঞ্জন দাসের দাবি, “ওই অঞ্চলে আমাদের সংগঠনের তেমন কোনও ক্ষতি হবে না। তবে এই ধরনের ঘটনায় তৃণমূলের সঙ্গে আমাদের জোটের মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে।” শান্তিরামবাবু বলেছেন, “মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। এই ঘটনার প্রভাব জোটে পড়বে না।” এ দিকে, প্রধান-সহ চার জন কংগ্রেস সদস্য এবং নির্দলের তিন জন তৃণমূলে যাওয়ায় দুমদুমি পঞ্চায়েতের দখল হারিয়েছে কংগ্রেস। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুমদুমির ১১টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৪, নির্দল ৩ এবং কংগ্রেস ৪টি দখল করেছিল। তৃণমূল লড়লেও একটি আসনও পায়নি। কিন্তু এখন সাত সদস্য তাদের সঙ্গে চলে আসায় পঞ্চায়েতের বোর্ড তৈরি করবে তৃণমূলই। সদ্য কংগ্রেস ছাড়া পঞ্চায়েত প্রধান ভীমচন্দ্র মাহাতো বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে ভাবে রাজ্য সরকার উন্নয়নের কাজ করছে, আমরা তাতে প্রভাবিত হয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।” |