সারের কালোবাজারি, মজুত সারের হিসেবে গরমিল ও পাচারের অভিযোগে পাত্রসায়রের এক সার ডিলারকে সাসপেন্ড করা হল। পাত্রসায়র থানার নারিচা গ্রামে তাঁর বাড়ি। নারিচা বাজারেই তাঁর সারের দোকান ও গুদাম রয়েছে।
মহকুমা কৃষি আধিকারিক (বিষ্ণুপুর) হেমন্তকুমার লায়েক বলেন, “স্থানীয়ভাবে অভিযোগ পাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পাত্রসায়রের বিডিও সমীরণকৃষ্ণ মণ্ডল ও ব্লক কৃষি আধিকারিক বাবলু সাঁতরা নারিচা গ্রামে গুরুপদ গোস্বামীর সারের দোকান ও গুদামে সরেজমিন তদন্তে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারই মজুত সারের হিসেবে গরমিল ধরা পড়েছিল। ওইদিন তাঁকে ‘শো-কজ’ করা হয়। শুক্রবার দোকান থেকে ট্রাকে সার পাচার করার সময় তাঁরা হাতেনাতে ধরেন। এরপর তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।” তাঁর দাবি, যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পরেই ওই ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রয়োজনে ওই ডিলারের ‘লাইসেন্স’ বাতিল করা হতে পারে।
পাত্রসায়রের বিডিও বলেন, “ওই ডিলার নির্ধারিত সরকারি মূল্যের বেশি দামে সার বিক্রি করছেন বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম। শুক্রবার গুদামে গিয়ে হাতে নাতে ইউরিয়া ও মিশ্র সার পাচার ধরা হয়।” পাত্রসায়র ব্লক কৃষি আধিকারিক বাবলু সাঁতরা বলেন, “গুরুপদবাবুর গুদাম থেকে দু’ধরণের মোট ১০৫ মেট্রিক টন সার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁর গুদাম ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, ওই সার পরে সরকারি মূল্যে এলাকার চাষিদের বিক্রি করা হবে।
গুরুপদবাবুর দাদা সিপিএমের পাত্রসায়র জোনাল কমিটির সম্পাদক লালমোহন গোস্বামী। গুরুপদবাবু অবশ্য সার কালোবাজারি করা ও পাচারের অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “আগে এত কড়াকড়ি ছিলনা। তাই হিসেবের খাতাপত্রে কিছু ভুল ছিল। সার কালোবাজারি করা ও পাচার করার অভিযোগ ঠিক নয়।” |