কোদালের হাতল দিয়ে কাকাকে খুন করার অভিযোগে ভাইপোকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার মানবাজার থানার জামদা গ্রামে। মৃতের নাম মহাদেব শবর (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামদা গ্রামটি মুকুটমণিপুর জলাধারের পশ্চিমে অবস্থিত। পাঁচ ডেসিমেল জায়গা নিয়ে মহাদেববাবুর সঙ্গে তাঁর ভাইপো কান্ত ও শ্যাম শবরের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। মহাদেববাবুর এক ছেলে বিভীষণ দাবি করেন, “গ্রামের অদূরে জলাধারের কাছে ৫ ডেসিমেল একটি জমিতে আমরা কয়েক বছর ধরে চাষ করে আসছিলাম। কান্ত এবং শ্যাম ওই জমি তাদের দিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তখন বাবা বলেন, ‘ওই জমি তো কারও নয়।’ শুকনো থাকলে বাবা চাষ করে এসেছেন। তাদের অন্য কোথাও ফাঁকা জায়গা দেখে চাষ করতে বলেন।” মহাদেববাবুর জামাই বিকাশ শবর দাবি, “ওই জমি নিয়ে আমার শ্বশুরের সঙ্গে ওদের বিবাদ চলছিল। তারা প্রায়ই মেরে ফেলার হুমকি দিত। কিন্তু তারা সত্যিই সত্যিই মেরে ফেলবে বুঝতে পারিনি। শনিবার বিকেলে বাড়ি শুয়েছিলেন শ্বশুর। সেই সময় কান্ত ও শ্যাম তাঁর উপরে চড়াও হয়।”
মৃতের ছোট ভাই সহদেববাবু বলেন, “বড়দার ছেলেরা মেজদাকে প্রথমে লাঠি দিয়ে মারে। পরে কোদাল নিয়ে এসে মাথায় আঘাত করে।” বিভীষণ বলেন, “আমরা ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখি বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন।” পুলিশ জানায়, খুনের অভিযোগে রবিবার সকালে তল্লাশি চালিয়ে কান্ত শবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্যামের খোঁজ চলছে। |