দাদাকে খুন করে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হলেন ভাই। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে লালগোলা থানার সীতেশনগর গ্রামে। দাদার নাম তমিজুদ্দিন শেখ (৩৫)। পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ পারিবারিক বিবাদের জেরে তমিজুদ্দিনকে আচমকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দেয় ভাই মফিজুদ্দিন। গুরুতর জখম তমিজুদ্দিনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। লালগোলা থানার ওসি মেহাইমেনুল হক বলেন, “বিকালে বহরমপুর হাসপাতালে তমিজুদ্দিনের মৃত্যু হয়। দাদাকে কোপানের পরে ভাই মফিজুদ্দিন পালিয়ে যায়।” তার পর এ দিন সন্ধ্যায় দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে ভগবানগোলার একটি হাটে সে কীটনাশক কিনে খেয়ে ফেলে। পুলিশ খবর পেয়ে তাঁকে কানাপুকুরে ভগবানগোলা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানেই রাতে মফিজুদ্দিন শেখের (২৫) মৃত্যু হয় বলে পুলিশ জানায়। তমিজুদ্দিন শেখ ওড়িশার রকমারি মাল ফেরি করে বিক্রি করেন। ঈদ উপলক্ষে তিনি দিন কয়েক আগে লালগোলার সীতেশনগরের বাড়িতে ফেরেন। তাঁর ভাই মফিজুদ্দিন শেখ অন্য জায়গায় পৃথক ভাবে বাড়ি করবেন বলে তমিজুদ্দিনের ঘরের চালা থেকে রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ টালি খুলতে থাকেন। তমিজুদ্দিন শেখের স্ত্রী সুলেখা বেওয়া বলেন, “চালা থেকে টালি খুলে নামানোর সময় আমার স্বামী মফিজুদ্দিনকে বাধা দেয়। তাতেই সে খেপে গিয়ে আমার স্বামীর পায়ে ধারল হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে দেয়।” আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমিজুদ্দিনকে কৃষ্ণপুরে লালগোলা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে প্রথমে লালবাগ হাসপাতালে ও পরে বহরমপুরের নিউ জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে তমিজুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। |