দূর সম্পর্কের দুই আত্মীয়কে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের এক অঞ্চল সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত বছর তিপ্পান্নর তারিণী পড়িয়ারির বাড়ি ঝাড়গ্রাম থানার পাটাশিমুল অঞ্চলের রাধাগোবিন্দপুর গ্রামে। তারিণীবাবু তৃণমূলের পাটাশিমুল অঞ্চল-সভাপতি।
গত ৪ জুন ঝাড়গ্রাম থানার নহরিয়ার জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে দু’টি দেহাবশেষ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ দু’টি ঝাড়গ্রামের পাটাশিমুল অঞ্চলের লোহাজালিয়া গ্রামের পেশায় চাষি সুকুমার পড়িয়ারি এবং তাঁর সম্পর্কিত ভাইপো রাধাগোবিন্দপুর গ্রামের মুদি দোকানি শুভব্রত পড়িয়ারির বলে শনাক্ত করেন পরিজনেরা। গত বছর অক্টোবরে নিখোঁজ হন ওই দু’জন। সে সময় ওই দু’জনকে নিজেদের দলীয় সমর্থক বলে দাবি করেছিল সিপিএম। তবে ওই সময় আতঙ্কে পরিজনেরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি। পরিজনদের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, সুকুমারবাবু ও শুভব্রতবাবু কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। ঘটনার প্রায় ৬ মাস পর এ বছর এপ্রিলে পরিজনেরা ঝাড়গ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশের দাবি, মাওবাদী-জনগণের কমিটির লোকেরাই ওই দু’জনকে অপহরণ করে খুন করেছিল। ৪ জুন দু’জনের দেহাবশেষ উদ্ধারের পর অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ, ষড়যন্ত্র, খুন ও প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তারিণীবাবুর সম্পর্কিত নাতি ছিলেন শুভব্রত। শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি থেকে তারিণীবাবুকে ধরা হয়। তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম ব্লক সভাপতি অনিল মণ্ডল বলেন, “পুরনো একটি মামলার এফআইআর-এ নাম থাকায় তারিণীবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।” আজ তাঁকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক দু’দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার ফের আদালতে হাজির করানো হবে। |