নারায়ণগড়ের মণিনাথপুরের হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় দুই সিপিএম কর্মীকে ধরল পুলিশ। রবিবার মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃত রতন দাস ও সুবল শীটকে ৫ দিন পুলিশ-হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আগামী
১ সেপ্টেম্বর ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হবে।
শুক্রবার মণিনাথপুরের খাল পাড়ে মাটি খুঁড়ে কিছু হাড়গোড় মেলে। ওই হাড়গোড় তাঁর স্বামী প্রবোধ দাসের বলে দাবি করেন আরতি দাস নামে এক মহিলা। ২০০০ সালের ২ নভেম্বর থেকে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন তৃণমূল কর্মী প্রবোধ। অভিযোগ, সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর খুন করার পরে প্রবোধবাবুর দেহ মাটিতে পুঁতে দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবারই রতন এবং সুবলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রতনের বাড়ি মণিনাথপুরে। সুবলের নারায়ণগড় ব্লকেরই চক গনকায়। |
নারায়ণগড়ের এই হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি তথা সিপিএম নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যের। ২০০০ সালে পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন অন্তরাদেবী। অন্তরাদেবীর অভিযোগ, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই আমার নাম ওই ঘটনার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।” তৃণমূলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি সূর্য অট্ট অবশ্য দাবি করেন, “মণিনাথপুরের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন জেলা সভাধিপতি। ঘটনাস্থল থেকে ওঁর বাড়ি বড়জোর দেড়-দু’কিলোমিটার। সে দিন প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের মদতেই আমাদের দলীয় কর্মীকে খুন করে দেহ পোঁতা হয়। সুশান্তবাবু ওই দিন সভাধিপতির বাড়িতেই ছিলেন।”
গোয়ালতোড়ের হাড়গোড়-উদ্ধারের ঘটনাতেও ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযুক্তদের অন্যতম এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএমের গোয়ালতোড় জোনাল কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসাদ দুলে। স্থানীয় কুঁন্দরিশোল জঙ্গল থেকে শনিবার খুলি-সহ হাড়গোড়, লুঙ্গি, জামা, জুতো উদ্ধার হয়। এই দেহাবশেষ তাঁর বাবা সুদর্শন কারকের বলে দাবি করেছেন পাথরপাড়ার ভাণ্ডারপুরের বাপি কারক। অভিযোগ, ২০১০ সালের ৪ জুন সুন্দরগেড়িয়া থেকে তৃণমূল সমর্থক সুদর্শনবাবুকে অপহরণ করা হয়। পরে খুন করে দেহ গায়েব করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। |