করলায় দূষণ বিরোধী প্রচার ইউনিফায়েডের
দীবক্ষে ভেসে বেড়াচ্ছে নৌকা। মাইকে বাজছে রবীন্দ্র সঙ্গীত। এমনই অভিনব ভাবে জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া করলা নদীতে দূষণ বিরোধী প্রচার চালাল রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন ইউনিফায়েড। রবিবার ছুটির সকালে এই সচেতনতা প্রচারের নৌকাকে কেন্দ্র করে শহরবাসীর মধ্যে যথেষ্ট উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরেই মজে যাওয়া করলা নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের ওই সংগঠন। করলা নদীতে বর্জ্য ফেলে দূষণ ছাড়ানো বন্ধ করতে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে শহরে প্রচারও চালানো হয়। এদিনের কর্মসূচি ছিল তারই অঙ্গ। নৌকায় রবীন্দ্র সঙ্গীতের পাশাপাশি দূষণ বিরোধী বেশ কিছু ব্যানার ফেস্টুনও টাঙানো ছিল। শহরের বাবুঘাট থেকে চলা শুরু হয় দূষণ বিরোধী এই নৌকার। সমাজপাড়া, দিনবাজার হয়ে মাসকলাই বাড়ি পর্যন্ত যায়। বস্তুত শহরে বাজার এলাকা দিনবাজার, মাসকলাইবাড়ি এলাকায় নির্বিচারে নদীবক্ষে জঞ্জাল থেকে শুরু করে প্লাস্টিক, বড় বাক্স, মাছ রাখার থার্মোকলের বাক্স সবই ফেলে দেওয়া হয়। এই এলাকায় জঞ্জালের স্তুপেই নদী ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এদিন এই এলাকাগুলিতে দূষণ বিরোধী নৌকা থেকে নদীতে জঞ্জাল ফেলা বন্ধ করতে শহরবাসীকে আর্জি জানানো হয়। ইউনিফায়েডের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টাপাধ্যায় বলেন, “শহরকে আড়াআড়ি ভাবে ভাগ করে নদী বয়ে গিয়েছে। এমন খুব কম শহরেই দেখা যায়। এই নদীকে কেন্দ্র করে পর্যটন থেকে শুরু করে নানান সম্ভাবনা ছিল। অথচ জলপাইগুড়িতে করলা নদী দূষণে জর্জরিত। মজে গিয়ে নদীতে জলপ্রবাহ প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। কয়েক দশক ধরে করলা নিয়ে সরকার এবং প্রশাসনিক স্তরে নানান পরিকল্পনা নেওয়া হলেও কোনওটাই এখন বাস্তবায়িত হয়নি। করলার নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবি তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে দূষণের কবল থেকে নদীকে রক্ষা করার বার্তা নিয়েই এদিন নৌকা প্রচার করা হয়েছে।” বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করলা নদী সংস্কারের জন্য একাধিক পরিকল্পনা করা হলেও নদীর হাল ফেরেনি। বছর খানেক আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ‘করলা কম্প্রিহেনসিভ স্কিমের’ মতো গালভরা নাম দিয়ে পরিকল্পনা করা হলেও একটি দুটি বৈঠকের বেশি কাজ এগোয়নি। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি পুরসভা করলা সংস্কারের উদ্যোগী হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে করলা অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনও মিলেছে বলে পুরসভা সুত্রে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবে সঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া চলতি মাসে জলপাইগুড়িতে এলে তাঁর হাতে করলা অ্যাকশন প্ল্যানের বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে দেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু। সে সময়ে একটি প্রকাশ্য সভায় সেচমন্ত্রী করলা সংস্কার নিয়ে আশ্বাসও দিয়েছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “করলা সংস্কারের জন্য পুরসভা যাবতীয় পদ্ধতি মেনে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে। সেই প্রকল্পের রূপায়নের আশার আলো দেখা গিয়েছে। তবে যে পরিস্থিতিই হোক এবং যে ভাবেই হোক পুর কর্তৃপক্ষ করলা নদীকে সংস্কার করে তার হৃত মর্যাদা ফিরিয়ে দেবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.