জলের নতুন সংযোগ, ট্রেড লাইসেন্স ও উত্তরাধিকার স্বত্ত্বের ‘ফি’ বৃদ্ধি করা নিয়ে বোলপুর পুরসভায় দ্বন্দ্ব বেধেছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে। পুরবাসীদের ঘাড়ে অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলরেরা। বোলপুরের তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের বৈঠক ছিল শনিবার। সেখানে ১৯ সদস্যের মধ্যে কংগ্রেসের পাঁচ কাউন্সিলর ফি বৃদ্ধির ব্যাপারে আপত্তি তোলেন। তাঁদের পক্ষে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহম্মদ জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, “বেশি কিছু দিন ধরেই আমরা পুর-এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাচ্ছিলাম। পুরবাসীদের জলের নতুন সংযোগ পেতে আগে দিতে হত ১৫০০ টাকা। তা এক ধাক্কায় বাড়িয়ে ৫৫০০ টাকা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, উত্তরাধিকার স্বত্ত্ব ফি ১০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি হোল্ডিং ফি, ট্রেডলাইসেন্স ফি বা বাড়ির নকশা অনুমোদনের ফিএ সবই কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। বোর্ডের মিটিংয়ে সমস্ত কাউন্সিলরের সম্মতি না নিয়ে সরাসরি নির্দেশিকা জারি করে এ ভাবে শহরবাসীর ঘাড়ে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপাচ্ছেন পুর-কর্তৃপক্ষ।” এরই প্রতিবাদে শনিবার পুরবোর্ডের বৈঠকে কংগ্রেসের পাঁচ কাউন্সিলর লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জাহাঙ্গির হোসেনের হুঁশিয়ারি, “বিষয়টি নিয়ে পুর-কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আমরা জনগণের কাছে যাব।” কংগ্রেস কাউন্সিলরদের ক্ষোভ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অতিরিক্ত কর বসানোর বিরোধিতা করছেন। অথচ তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা সবাইকে ‘অন্ধকারে’ রেখে সরাসরি ‘অফিস অর্ডার’-এর মাধ্যমে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। বোলপুরের উপ-পুরপ্রধান নরেশচন্দ্র বাউরির অবশ্য দাবি, “এর আগে পুরবোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ করেই ফি বৃদ্ধির বিষয়টি গৃহীত হয়েছিল। প্রায় দশ বছর আগে যে ফি ছিল, তা এখনও বহাল রাখা সম্ভব নয়। পুরসভা বাড়তি কোনও কর বসায়নি। শুধু কিছু বিষয়ের ফি বাড়ানো হয়েছে।” |