তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’র জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে নানুরের পাকুড়হাঁস গ্রামে। ওই গ্রামে ৫ তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর-লুঠপাট ও এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সিপিএম পরিকল্পতি ভাবে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। অন্য দিকে, সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার নানুরে তৃণমূলের একটি কর্মী সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে পাকুড়হাঁস গ্রামের কয়েক জন দলীয় কর্মী-সমর্থক যোগ দেন। সেই আক্রোশে স্থানীয় কয়েক জন দুষ্কৃতী ওই সব কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়। বোমাবাজি করে। বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাট চালায়। তারা শাবলের ঘায়ে আকবর শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেয়। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, ওই সব দুষ্কৃতীরা তৃণমূলেরই মদতপুষ্ট।
সিপিএমের এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের নানুর ব্লক কার্যকরী সভাপতি অশোক ঘোষ বলেন, “ওই দুষ্কৃতীরা সিপিএমের মদতপুষ্ট। তারা মূলস্রোতে ফিরে সুস্থ রাজনীতি করতে চায়এই মর্মে অঙ্গীকার করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আমাদের দলে ঢুকেছিল। কিন্তু তারা শোধরায়নি। আমাদের কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছিল। তাই কয়েক দিন আগে তাদের বহিষ্কার করা হয়।” তাঁর দাবি, “সেই আক্রোশে তারা দর্লী কর্মী-সমর্থকদের সভা-সমাবেশে যোগ না দেওয়ার জন্য ফতোয়া জারি করেছিল। তা অগ্রাহ্য করে কয়েক জন শনিবার সমাবেশে গিয়েছিলেন বলে হামলা চালায় তারা। আসলে সিপিএম পরিকল্পিত ভাবে আমাদের দলে তাদের ঢুকিয়েছিল এই কাণ্ড করতে।” স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সমীর ভট্টাচার্য বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তোলাবাজি নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে।”
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় সাত জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। |