|
|
|
|
উচ্চশিক্ষার প্রসার চান প্রাক্তনীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় আদিবাসীদের মত পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্চ শিক্ষার আঙিনায় আরও বেশি করে সামিল করা হোক। প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক এবং প্রাচীন নিদর্শন সংরক্ষণে আরও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ভূমিকম্প প্রবণ এই এলাকায় এ ব্যাপারে গবেষণা এবং ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ কোর্স চালু করা প্রয়োজন। উত্তরবঙ্গের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়টি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে তৎপর হবে প্রাক্তনীদের সংগঠন। রবিবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এ ব্যাপারে সহমত হন সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালনে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ওই সেমিনারের বন্দোবস্ত করা হয়।
অসুস্থতার কারণে উপাচার্য অরুণাভ বসু মজুমদার সেমিনারে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তিনি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিনারে উপস্থিত প্রাক্তনী সংগঠনের সম্পাদক তাপস কুমার চট্টোপাধ্যায়, সভাপতি এস বি করঞ্জাইদের মতো প্রাক্তনীরা জানান, উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনেক। তবু পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে এখনও অনেক কাজ করার রয়েছে। তাতে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। সেগুলি কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে প্রাক্তনীরা যাতে উদ্যোগী হলে ভাল হয়।
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনন্দ গোপাল ঘোষ তাঁর বক্তব্যে জানান, ওই অঞ্চলের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কর্মসংস্থানমূলক বিভিন্ন পাঠ্যক্রম চালু করা দরকার। সে ক্ষেত্রে টি ট্যুরিজম, রেশম চাষের মতো বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। সামাজিক বিভিন্ন কাজে প্রাক্তনী সংগঠনের সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা-বাণিজ-আইন শাখার ডিন জেতা সাংকৃত্যায়ন জানান, এখনও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসী বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারছেন না। এ ব্যাপারে প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রাক্তনী সংগঠনের তরফে সুভ্যেনির প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|