|
|
|
|
ডান্সবার বন্ধের দাবি মেয়র, বিধায়কের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
‘ডান্স ও সিঙ্গিং বার’ বন্ধের দাবিতে এবার রাস্তায় নামলেন বিধায়ক, মেয়র ও কাউন্সিলররা। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ সেবক রোডের দুই মাইল এলাকার একটি শপিংমলের নীচে থাকা ‘ডান্স বার’-এর সামনে মৌন বিক্ষোভে সামিল হন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার ও শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ সীমা সাহা, নীলু শর্মা, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুন্তল গোস্বামীরা। ‘সিঙ্গিং বার’ প্রতিবাদ মঞ্চের ডাকে ওই আন্দোলনে বিধায়ক, মেয়রকে দেখে সামিল হন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়াও নারী মোর্চা সদস্যরাও যোগ দেন আন্দোলনে। |
|
একটি ‘ডান্স বার’-এর সামনে আন্দোলন। |
শঙ্করবাবু দার্জিলিং জেলা( সমতল) কংগ্রেসের সভাপতির পদেও রয়েছেন। তিনি বলেন, “চাইলে এক ঘন্টার মধ্যেই ডান্স ও সিঙ্গিং বারের নামে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিতে চাই না। আন্দোলনের মাধ্যমে জনতার মধ্যেই চেতনা আনার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে যাতে ডান্স বারের লাইন্সেস বাতিল করে দেয় সে ব্যপারেও জনমত গড়ে তোলা হচ্ছে।”
মেয়র গঙ্গোত্রী দেবী জানান, পুরসভার পক্ষ থেকে ‘ডান্স ও সিঙ্গিং’ বারের লাইন্সেস দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “পানশালাগুলিতে গান, বাজনার আসর বসিয়ে অপসংস্কৃতির জন্ম দেওয়া হয়েছে। যুবক সমাজকে নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বিভিন্ন পরিবারে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এটা মানা যায় না। প্রশাসন যাতে ওই পানশালাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় সে ব্যাপারে কথা বলব। ‘ডান্স ও সিঙ্গিং বার’-বন্ধের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে ‘সিঙ্গিং বার’ প্রতিবাদ মঞ্চ। গত ৬ অগষ্ট সেবক রোডের একটি ‘ডান্স বার’-এ কয়েকজন আইপিএস অফিসার গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন। বিহারের কয়েকজন আইপিএস ছাড়াও উত্তরবঙ্গের আইপিএস অফিসারদের একাংশের নামও সেখানে উঠে আসে। তা নিয়ে ডিজির নির্দেশে তদন্ত চলছে। সেই সঙ্গে ভক্তিনগর থানার যে অফিসার নির্দিষ্ট সময়ের পরে ওই ডান্স বার খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে চিহ্নিত করার নির্দেশও দিয়েছেন ডিজি। ওই ঘটনার পর থেকে আন্দোলন তীব্র করে ‘সিঙ্গিং বার’ প্রতিবাদ মঞ্চ। তাঁদের অভিযোগ, ডান্স বারে খুনের ঘটনার অভিযোগও হয়েছে। ‘ডান্স বার’-এর ফলে সমাজে কী সমস্যা হচ্ছে সে সংক্রান্ত ফ্লেক্স হাতে নিয়ে এদিন এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকেন বিধায়ক, মেয়র। ‘সিঙ্গিং বার’ প্রতিবাদ মঞ্চের পক্ষে যতন সাহা বলেন, “ধারাবাহিক ভাবে আন্দোলন চালানো হবে।” |
|
|
|
|
|