ঝালদা পুরসভায় সম্প্রতি পুরপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের প্রদীপ কর্মকার। পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক তাপসকুমার গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগের পুরপ্রধান সিপিএমের পঙ্কজ মণ্ডল পদত্যাগ করায় পুরপ্রধানের পদটি শূণ্য ছিল। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী প্রদীপবাবু পুরপ্রধান পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিধি মোতাবেক তিনি এই পদের দায়িত্বে থাকবেন। এর এক সপ্তাহের আগে বৈঠক ডেকে তাঁর পক্ষে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। প্রসঙ্গত, ১২ সদস্যের ঝালদা পুরসভায় সিপিএমের তিন জন, ফরোয়ার্ড ব্লকের দু’জন ও নির্দলের এক জনকে নিয়ে বামফ্রন্টের পুরবোর্ড গঠন হয়েছিল। বিরোধী শিবিরে ছিলেন কংগ্রেসের তিন জন । বাকি তিন জন নির্দল। চলতি বছরের জুন মাসে বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের প্রদীপ কর্মকারের নেতৃত্বে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। ভোটাভুটিতে সিপিএমের এক জন ও ফরোয়ার্ড ব্লকের দু’জন অনুপস্থিত ছিলেন। ভোটের ফল পঙ্কজবাবুর বিরুদ্ধে যায়। পরে, পঙ্কজবাবু পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর থেকে পুরপ্রধানের পদটি শূণ্য পড়েছিল।
|
পাতলই নদীর জলে ভেসে আসা মৃতের পরিচয় জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শঙ্কর মাহাতো (৬৩)। হুড়া থানার আলোকডি গ্রামে তাঁর বাড়ি। তাঁর স্ত্রী মন্দাকিনী মাহাতো বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি থেকে স্বামী বেরিয়েছিলেন। তারপর আর ফেরেননি।” উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে কেশরগড়-লালগড় রাস্তার উপর পাতলই নদীর কজওয়ের নীচে ওই বৃদ্ধের দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, জলমগ্ন ওই কজওয়ে পার হতে গিয়েই তিনি ভেসে গিয়েছিলেন।
|
দলের বিধায়কের সংবর্ধনা শেষ হওয়ার পরেই তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সমর্থকদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। পাত্রসায়র থানার শ্যামদাসপুর গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। হামলায় তাঁর গোষ্ঠীর ৫ জন কর্মী জখম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন পাত্রসায়র ব্লক নেতা পার্থপ্রতিম সিংহ। জখমদের মধ্যে গড়েরডাঙা গ্রামের বাসিন্দা অশোক কুণ্ডুকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রহৃত তৃণমূল কর্মী প্রশান্ত মণ্ডল বেলুট-রসুলপুর অঞ্চল সভাপতি বিজয় দাস-সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কেউ গ্রেফতার হয়নি। পার্থপ্রতিম সিংহের অভিযোগ, “শ্যামদাসপুর গ্রামে শনিবার বিকেলে সোনামুখী কেন্দ্রের বিধায়ক দীপালি সাহার সংবর্ধনা সভা হয়। সভা শেষে দলের কর্মীরা যখন মাইক, বক্স খুলে জিনিসপত্র সরাচ্ছিলেন সেই সময় স্থানীয় নেতা বিজয় দাসের নেতৃত্বে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ৫ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়।” তাঁর দাবি, “তৃণমূল নেতা স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের প্ররোচনাতেই এই হামলা চালিয়েছে তাঁর ভৈবরবাহিনী।” বেলুট-রসুলপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বিজয় দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সিপিএমের দুষ্কৃতীদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা হচ্ছে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে দলের কিছু কর্মী ওঁদের তাড়া করেছিলেন। তাড়া খেয়ে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে ওঁরা চোট পেয়েছেন। কেউ মারধর করেননি।” পাত্রসায়র ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেন, “তৃণমূল কর্মী শেখ বদরে আলমের খুনিদের, জেলাপরিষদ সদস্য অজিত বাগদির আশ্রিত দুষ্কৃতী, তোলাবাজ এবং আমাদের কর্মী-সমর্থকদের হামলায় অভিযুক্তদের নিয়ে পার্থপ্রতিম সিংহ রাজনীতি করছেন। সিপিএমের এই দালালদের দেখেই এলাকায় জনরোষ তৈরি হয়েছে। শ্যামদাসপুরের ঘটনা সেই জনরোষের বহিঃপ্রকাশ।”
|
নেতাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের ছবি সহ সিবিআইয়ের পোস্টার পড়ল পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়া-বরাকর রাস্তার উপর ছড়রায় রবিবার সকালে এই পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারে অভিযুক্ত তপন দে, জয়দেব গিরি, ফুল্লরা মণ্ডল, রথীন দণ্ডপাট, চণ্ডী করণ, শেখ খলিলউদ্দিন, অনুজ পাণ্ডে ও ডালিম পাণ্ডের ছবি দিয়ে তাঁদের সর্ম্পকে খবর দিতে পারলে আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। |