|
|
|
|
অশালীন আচরণের নালিশ পাত্রসায়রে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার চাঁদনি গ্রামের বাসিন্দা এক আদিবাসী যুবতীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে প্রহৃত যুবক শেখ মহিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল। দিন কয়েক আগে ওই আদিবাসী যুবতীর সঙ্গে অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করায় চাঁদনি গ্রামের বাসিন্দা নেপাল হেমব্রম নামে এক যুবককে শেখ মহিরুদ্দিন মারধর করেছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাত্রসায়র বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে মহিরুদ্দিনকে মারধর করলেছিলেন ওই তরুণীর পড়শিরা। শনিবার ওই যুবতীর কাকা সুরেন হাঁসদা মহিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত যুবক বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এ দিকে, অভিযুক্ত যুবককে তাঁদের দলের সমর্থক বলে দাবি করেছেন পাত্রসায়র ব্লক তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম সিংহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “মহিরুদ্দিন সিপিএমের লোক। সিপিএমের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় বহু কুকর্ম করার পরে পার্থপ্রতিম সিংহের নিরাপদ আশ্রয়ে ঢুকেছেন মহিরুদ্দিন।” স্নেহেশবাবু বলেন, “ওই ঘটনাকে আমরা কোনও ভাবে সমর্থণ করছি না। আমরা গ্রাম্য সালিসি সভা ডেকে সীমাংসার বিরোধী। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।”
পার্থপ্রতিমবাবু অবশ্য বলেন, “মহিরুদ্দিন আমাদের দলের সমর্থক। চাঁদনি গ্রামের কিছু মানুষ ব্যাপারটিকে সুষ্ঠুভাবে মীমাংসার জন্য বলেছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ব্যাপারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কথাবার্তা চালানোর সময়ে মহিরুদ্দিনকে মারধর করা হয়।” তাঁর দাবি, “মহিরুদ্দিনের সঙ্গে ওই যুবতীর দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ওই ঘটনার জন্য নয়, স্থানীয় এক যুবককে মারধরের অভিযোগে পাল্টা মার খেয়েছেন মহিরুদ্দিন।” মহিরুদ্দিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা অবশ্য মানেননি ওই যুবতীর পরিবার। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরেই নোংরামি করছেন ওই যুবক।” বাঁকুড়া পুলিশ সুপার প্রণব কুমার অবশ্য বলেন, “তদন্ত চলছে।” |
|
|
|
|
|