|
|
|
|
সমবায় নির্বাচনকে ঘিরে দ্বন্দ্ব তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিমলাপাল |
সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এল বাঁকুড়ার সিমলাপালে। শুক্রবার সিমলাপাল লায়েকপাড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন কমিটির প্রতিনিধিদের ৬টি আসনে নির্বাচন হয়। নির্বাচনী লড়াইয়ে সিপিএম ছিল না। তা সত্ত্বেও ভোট হয়। তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তৃণমূলের সিমলাপাল ব্লক সভাপতি সনৎ দাসের প্যানেলের ৫ জন প্রার্থীই জয়ী হন। দলের প্রাক্তন স্বক সভাপতি অশোক ষন্নিগ্রহীর প্যানেলের ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র এক জন জিতেছেন।
সিমলাপাল লায়েকপাড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ক্ষমতা দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের দখলে ছিল। কোনও দিনই সেখানে ভোট হয়নি। এ বারই প্রথম ওই সমবায়ে ভোট হয়। সিপিএম লড়াইয়ে না থাকলেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামায় এই ভোটকে ঘিরে টান টান উত্তেজনা ছিল এলাকায়। ওই সমবায় সমিতির ম্যানেজার শঙ্কর পাঠক বলেন, “সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ৭০০। তার মধ্যে ৬০৩ জন ভোট দিয়েছেন। পরিচালন সমিতির প্রতিনিধিদের ৬টি আসনে দু’টি প্যানেলের মোট ১১ জন প্রার্থী ছিলেন। একটি প্যানেলের ৫ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আর একটি প্যানেলের ৬ জনের মধ্যে এক জন নির্বাচিত হয়েছেন।” এই জয়ে অবশ্য যথেষ্টই খুশি সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি সনৎ দাস। তাঁর দাবি, “ওই নির্বাচনে যে পাঁচ জনকে দাঁড় করিয়েছিলাম তাঁরা সবাই জিতেছেন। হার নিশ্চিত জেনেই সিপিএম এ বার প্রার্থী দেয়নি।” জেলা তৃণমূল নেতা দিলীপ পণ্ডার কটাক্ষ, “দলেরই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা তথা প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অশোক ষন্নিগ্রহী তাঁর পছন্দের গোষ্ঠীর ৬ জনকে প্রার্থী করেছিলেন। কিন্তু সমিতির সদস্যরা আমাদের প্রতি যে আস্থাশীল তা তাঁদের হারিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।”
অশোকবাবু অবশ্য বলেন, “ওই সমবায়ে সাধারণ সভা ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে এত দিন পরিচালন কমিটি গঠিত হত। এ বার কমিটি গড়া নিয়ে সদস্যদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেওয়ায় ভোট হয়েছে। যাঁরা ভোটে লড়েছেন সবাই তৃণমূলের। কেউ বিক্ষুব্ধ নয়।” তাঁর পাল্টা দাবি, “দলের মধ্যে বিরোধ জিইয়ে রাখার জন্যই সিপিএমের মদতে অনেকে এ সব করে ক্ষতি করছেন। আমি বিক্ষুব্ধদের দলে নেই।” সিপিএমের সিমলাপাল লোকাল কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ মহান্তি অবশ্য এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।” |
|
|
|
|
|