|
|
|
|
দুর্ঘটনার জেরে ইঁদপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইঁদপুর |
গাড়ির ধাক্কায় এক যুবকের আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল ইঁদপুর থানার গুন্নাথ গ্রামে। শনিবার রাতের ঘটনা। দুর্ঘটনার পরেই গাড়ি ভাঙচুর করে গাড়ি মালিকের দোকানে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাঁকুড়া থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। গুন্নাথের বাসিন্দা অরবিন্দ দাস নামের ওই যুবক গুরুতর জখম অবস্থায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এ দিন বিকেলে পুলিশ গাড়ির মালিক তথা চালক অমিত ঘোষকে গ্রেফতার করে।
এসডিপিও (খাতড়া) অলোক রাজোরিয়া বলেন, “স্থানীয় এক যুবককে ওই গ্রামেরই এক ব্যক্তির গাড়ি ধাক্কা মারার পরে এলাকার কিছু মানুষ উত্তেজিত হয়ে গাড়ি ভাঙচুর, ও দোকামে অগ্নিসংযোগ করে পালায়। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ গুন্নাথ বাজারে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় বাজার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের অরবিন্দ দাস। ইঁদপুরের কুরপা গ্রামের বাসিন্দা অমিত ঘোষ ওই বাজারে তাঁর দোকান বন্ধ করে গাড়ি চালিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ গাড়িটি অরবিন্দকে ধাক্কা মারে। ওই যুবক রাস্তায় ছিটকে পড়ার পরে গাড়ির নিচের যন্ত্রাংশে তাঁর জামা আটকে যায়। সেই অবস্থায় গাড়ি না থামিয়ে রাস্তায় ঘষড়াতে ঘষড়াতে তাঁকে ফুট দশেক দুরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। আহত যুবকের চিৎকারে এলাকার বাসিন্দারা সেখানে দৌড়ে যান। বেগতিক দেখে গাড়ি ফেলে চালক পালান। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর জখম অবস্থায় অরবিন্দকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এরপরেই স্থানীয়দের একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে গাড়িটি ভাঙচুর করে। তারপর তারা গাড়ি মালিক অমিত ঘোষের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
আহত যুবকের কাকা চণ্ডীচরণ দাস বলেন, “রাস্তার পাশ দিয়ে অরবিন্দ যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি তাঁকে ধাক্কা মারে। ওর জামা গাড়িতে আটতে যায়। তা হঁশ না করে গাড়িটি আরও কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যায়। তারপর চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে চালক পালায়।” তাঁর দাবি, “এমন অমানবিক কাণ্ড দেখে গ্রামের কেউ কেউ হয়ত গাড়ি ভাঙচুর করে ও দোকানে আগুন লাগায়। তবে, আমরা তখন অরবিন্দের চিকিৎসা করানো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই কারা এসব করেছে, জানিনা।” অভিযুক্ত অমিত ঘোষ এ দিন সকালে বলেন, “এটা নিছকই দুর্ঘটনা। ধাক্কা মারার পরেই গাড়ি থামাই। কিন্তু, সেই সময় কিছু লোকজন রে রে করে আমাকে মারার জন্য তেড়ে আসায় ভয়ে পালিয়ে যাই।” তাঁর অভিযোগ, “দুর্ঘটনার পরে ব্যক্তিগত আক্রোশে আমাদের দোকানে ভাঙচুর, লুঠপাট করে ওরা আগুন লাগায়। লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। গাড়িও ভাঙচুর করেছে।” |
|
|
|
|
|