• জোব চার্নকের সমাধিফলকটি যে পাথর দিয়ে তৈরি, সেটি আসলে এক ধরনের আগ্নেয় শিলা। ভারত, শ্রীলঙ্কা, মাদাগাস্কার আর আফ্রিকার ভূতাত্ত্বিক গঠনে এর গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। জোব চার্নকের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে টি এইচ হল্যান্ড এর নামকরণ করেন ‘চার্নকাইট স্যুইট’।
• মাটি দিয়ে যাঁরা নানা ধরনের অবয়ব ফুটিয়ে তোলেন, তাঁদের স্বর্গ হল কলকাতার কুমোরটুলি। কুমোরটুলি তৈরি হয়েছিল সপ্তদশ শতকে। এই সময় কৃষ্ণনগর থেকে গোবিন্দপুর পাড়ি দিয়েছিলেন এক দল কুমোর। উদ্দেশ্য ছিল প্রতি দিনের ব্যবহারের পাত্র, মাটির খেলনা, রান্নার জিনিসপত্র তৈরি করে একটু ভাল ভাবে দিন গুজরান করা। পরবর্তী কালে গোবিন্দপুরের ওই জমি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রয়োজন হয় ফোর্ট উইলিয়ম তৈরির জন্য। ফলে এখানকার অধিবাসীরা নদীর ধার ধরে আর একটু উঠে সুতানুটিতে চলে যান। কুমোররা তাঁদের নতুন ঠিকানায় পৌঁছে সেইখানেই বাস করতে শুরু করেন এবং জায়গাটার নাম রাখেন কুমোরটুলি।
•
১৮৮৪ সাল নাগাদ ভারতের টাইম জোন বা সময়-অঞ্চলগুলি তৈরি হয়। আদতে এখানে দু’টি সময়-অঞ্চল ছিল বম্বে টাইম এবং ক্যালকাটা টাইম। ক্যালকাটা টাইম গ্রেনিচ-এর সময় থেকে ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ২১ সেকেন্ড আর বম্বে টাইম ৪ ঘণ্টা ৫১ মিনিট এগিয়ে থাকত।
• ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতারা ক্লাবের জার্সির রং কী হবে, সেই নিয়ে বিস্তর তর্ক-বিতর্ক চালিয়েছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁরা চৌরঙ্গীর হোয়াইটওয়ে লিডেল’ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বেশ আকর্ষণীয় ভাবে ঝোলানো একটা লাল আর সোনালি রঙের শার্ট পছন্দ করেন। এই রংগুলিই শেষকালে ক্লাবের সঙ্গে স্থায়ী ভাবে জড়িয়ে গেল।
• পুরাণে বলে, কালীঘাটের দেবী কালীর পায়ের আঙুলগুলি সাধারণত মূল বিগ্রহের নীচে তালা-চাবি দিয়ে রাখা থাকে। নির্দিষ্ট দিনে যে পুরোহিতকে এই দায়িত্ব দেওয়া থাকে, তিনি চোখবাঁধা অবস্থায় বাক্স খুলে পবিত্র পায়ের আঙুলগুলি ভাল ভাবে ধুয়ে দেন।
• ফোর্ট উইলিয়মে ছ’টা তোরণ আছে চৌরঙ্গি, পলাশি, কলকাতা, ওয়াটার গেট, সেন্ট জর্জেস আর ট্রেজারি গেট।
• উত্তর-মধ্য কলকাতার চিৎপুরে গড়ে উঠেছে কলকাতা স্টেশন। পূর্ব ভারতের একমাত্র আন্তর্জাতিক ট্রেন কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস এই স্টেশন থেকে বাংলাদেশের দিকে যাত্রা করে।
• নোবেল পুরস্কার জেতার পর মাদার টেরিজা অসলো’র প্রথাগত নোবেল ভোজসভায় যোগ দিতে অস্বীকার করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে পুরস্কার সংগ্রহ করতে এসে মাদার জানিয়ে দেন, এই অর্থ দুঃস্থ ও গরীবদের জন্য ব্যয় করা অনেক ভাল। ভোজসভাটি শেষে বাতিল হয়ে যায়।
• গৌরী সেন ছিলেন অষ্টাদশ শতকের কলকাতার বাসিন্দা। পারিবারিক আমদানি-রফতানির ব্যবসা থেকে তিনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিলেন। ব্যবসায়ী মহলেও তিনি সুপরিচিত ছিলেন। অন্য লোকের দেনা শোধ করার জন্য তিনি অকাতরে অর্থ বিলোতেন। শুধু তা-ই নয়, কেউ রাজস্ব মেটাতে না পারলেও তিনি তাঁদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতেন। ‘লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন’ এই প্রবাদটি এখান থেকেই এসেছে। |
১ কলকাতায় এই সম্প্রদায়ই প্রথম তাদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য রিকশা চালু করে। ১৯০৩-০৪ সাল নাগাদ তারাই ছিল এক মাত্র রিকশাচালক গোষ্ঠী। কোন সম্প্রদায় এরা?
২ ১৮৪০ সালে কলকাতা পুলিশ এর সূচনা করে। বার্তা আদানপ্রদান আর কোনও জাহাজ দেখতে পেলেই বন্দর-কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য এক জন দফাদারের (হেড অফিসার) অধীনে মাত্র দু’জন সওয়ার নিয়ে এটি শুরু হয়। কী এটি?
৩ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীকটি কোন প্রখ্যাত চিত্রকরের তৈরি?
৪ ১৯৭৯ সালে নির্মিত উৎপল দত্তের ‘ঝড়’ চলচ্চিত্রটি কোন বিখ্যাত কলকাতাবাসীর জীবনী নিয়ে তৈরি?
৫ স্থপতি উইলিয়ম এমারসন এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কলকাতার এই স্থাপত্যটির নকশা করেছিলেন। ব্রিটিশ এবং ভারতীয় অভিজাতরা স্বেচ্ছায় এই অর্থ দান করেন। কোন বিখ্যাত স্থাপত্য এটি? |
১) চিনা সম্প্রদায় ২) মাউন্টেড পুলিশ ৩) নন্দলাল বসু
৪) হেনরি ডিরোজিও ৫) ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল |