|
|
|
|
|
|
|
প্লান্ট ব্রিডিং টেকনিশিয়ান |
উদ্ভিদের ব্যবসায়িক ব্যবহারের ক্ষেত্রটি ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে। প্রতিদিনের খাবার থেকে শুরু করে কাগজ, নির্মাণ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, তন্তু, ওষুধঅনেক কিছুর কাঁচা মালের জোগান দেয় নানা ধরনের উদ্ভিদ। নানা উৎপাদনের জন্য উপযোগী উদ্ভিদ এখন বিভিন্ন গবেষণাগার বা কৃষি প্রতিষ্ঠানে তৈরি করা হচ্ছে, যেগুলির ব্যবহারিক গুরুত্ব রয়েছে। আর কৃষি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এই ধরনের নানা গবেষণা চালান উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের একটি শ্রেণি। এঁদের বলা হয় প্লান্ট ব্রিডিং টেকনিশিয়ান।
দেশের অনেক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্লান্ট ব্রিডিং ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে স্নাতকোত্তর থেকে পিএইচ ডি কোর্স করানো হয়। যারা কৃষি নিয়ে স্নাতকস্তরে পাশ করেছে তারা স্নাতকোত্তরে প্লান্ট ব্রিডিং নিয়ে পড়তে পারে। এই বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্সও আছে। সে ক্ষেত্রে ছাত্রকে কোনও প্লান্ট ব্রিডিং টেকনিশিয়ান-এর সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি এই সংক্রান্ত কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতে হবে। গোবিন্দ বল্লভ পন্থ ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনলজিতে (http://www.gbpuat.ac.in/) জেনেটিক্স এবং প্লান্ট ব্রিডিং-এ এম এসসি ও পিএইচ ডি করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কেরালা এগ্রিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অব হর্টিকালচার-এ (http://www.kauhort.in/) প্লান্ট ব্রিডিং এবং জেনেটিক্স-এ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স করানো হয়।n কৃষি ছাড়া বটানি অনার্সের ছাত্রছাত্রীরাও কোর্সটি করতে পারে।
• স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বৃত্তির ব্যবস্থা আছে।
• কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণাগার, বায়োটেকনলজি সংস্থা, কৃষি সংস্থায় কাজের সুযোগ রয়েছে।
|
ফোকাস |
শান্তা দত্ত (দে)
শিক্ষক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
|
ইতিহাসের স্নাতক। ভবিষ্যতে মাস কমিউনিকেশন নিয়ে পড়তে চাই। রাজ্যে কোথায় এই কোর্সটি করানো হয়? কত বছরের কোর্স ও খরচ কত? কী যোগ্যতার প্রয়োজন? চাকরির কী সুযোগ আছে?
অপর্ণা বেরা, কল্যাণী, নদিয়া
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (২২৪১৪৯৮৪-৮৬) জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন-এ দু’বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হতে যে-কোনও বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। কেবল মাত্র ২৫টি আসন জার্নালিজমের (অনার্স) ছাত্রছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এখানে প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পার্ট-টু রেজাল্ট বেরোনোর পর জুলাই মাস নাগাদ ফর্ম দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও দুটি ডিপ্লোমা কোর্স আছে। একটি, মিডিয়া স্টাডিজ-এ এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা। আর অন্যটি, মাস কমিউনিকেশনে এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা। এই দুটি কোর্সে আবেদন করার ন্যূনতম যোগ্যতা সাধারণ গ্র্যাজুয়েট। মাস কমিউনিকেশনের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্সের খরচ ১২,০০০ টাকা। আর মিডিয়া স্টাডিজের খরচ ১০,০০০ টাকা। এ ছাড়াও, উত্তরবঙ্গ (০৩৫৩-২৬৯৯২৫৫), বর্ধমান (০৩৪২-২৫৩৩৯১৩), বিশ্বভারতী, রবীন্দ্রভারতী (২৫৫৭-১০২৮) ও ইন্দিরা গাঁধী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে এম এ পড়ানো হয়। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (অ্যাডাল্ট অ্যান্ড কন্টিনিউয়িং এডুকেশনের অধীনে, ২৪১৪-৬৬৬৬) মাস কমিউনিকেশনে ১ বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স আছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সটির নাম মাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড ভিডিয়োগ্রাফি। ওয়েবসাইট: http://onlineadmission.vidyasagar.ac.in. ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব টেকনলজি-র অধীনে পৈলান কলেজ, জর্জ কলেজ, টেকনো ইন্ডিয়া ইত্যাদিতে মিডিয়া সায়েন্সে ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্স আছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ার খরচ স্বাভাবিক ভাবেই বেশি। মাস কমিউনিকেশন, মিডিয়া স্টাডিজ বা জার্নালিজম যে-কোনও কোর্স করে টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন সংবাদ পত্রিকা ইত্যাদিতে কাজের সুযোগ যথেষ্ট। মাস্টার্স ডিগ্রি করা থাকলে সরকারি চাকরি মূলত ইনফর্মেশন অফিসার, জনসংযোগ আধিকারিক এবং অধ্যাপনার কাজ পাওয়া যায়।
বি কম (অনার্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এর পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘কমিউনিকেটিভ ইংলিশ’-এর কোর্স করতে পারব? ভবিষ্যতে কী ধরনের চাকরি পাওয়া যেতে পারে এটা করে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক |
|
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিউনিকেটিভ ইংলিশ-এর একটি সার্টিফিকেট কোর্স করানো হয়। ৬ মাসের এই কোর্সটি করার শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। এর জন্য কোনও রকম প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হয় না। স্নাতকস্তরে উত্তীর্ণ হয়েও এই কোর্স করা যায়। ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে ফর্ম দেওয়া হয়। এই কোর্সটি পড়ার খরচ ১৩০০ টাকা। শুধু মাত্র কমিউনিকেটিভ ইংলিশ-এর একটি কোর্স করলেই যে চাকরির রাস্তা খুলে যাবে তা নয়, কোর্সটির মাধ্যমে ইংরেজি বলা ও লেখার ক্ষমতা বাড়বে। আর ইংরেজি ভাল জানা থাকলে বেসরকারি ক্ষেত্রে (কনটেন্ট রাইটিং, পি আর, কল সেন্টার ইত্যাদি) চাকরির অভাব হয় না। তবে সেটা সর্বদাই নির্ভর করে ছাত্র বা ছাত্রীর নিজের যোগ্যতার ওপর।
একাদশ শ্রেণিতে আমার কম্বিনেশন নিউট্রিশন, কেমিস্ট্রি এবং বায়োলজি। এর পর স্নাতকস্তরে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন নিয়ে পড়া যাবে? রাজ্য কোথায় এম এসসি পড়ানো হয়? চাকরির সুযোগ কেমন?
শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস, কল্যাণী
নিউট্রিশন, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি কম্বিনেশন নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর স্নাতকস্তরে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন নিয়ে পড়া যাবে। বিষয়টি পড়তে হলে কেমিস্ট্রি অবশ্যই থাকতে হবে। স্নাতকস্তরে এটি পড়া যাবে মণীন্দ্র কলেজ, জয়পুরিয়া কলেজ, নেতাজীনগর কলেজ, বিহারীলাল কলেজ, মা সারদা কলেজ, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ, প্রভৃতিতে। স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ রয়েছে কলকাতা, ইগনু, বিদ্যাসাগর, বারাসাত রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় (মা সারদা কলেজ) ইত্যাদিতে। বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউট্রিশন এবং ফুড প্রসেসিং সায়েন্স-এ এম এসসি কোর্স রয়েছে। এই বিষয় পড়ে স্কুল-কলেজে শিক্ষকতা করার যাবে। ডায়েটেশিয়ান ও নিউট্রিশনিস্ট হিসেবে কাজ করা যায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে।
|
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:
হোম পেজ, প্রস্তুতি,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|