|
|
|
|
প্রোমোটার গুলিবিদ্ধ মধ্যমগ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভরদুপুরে নিজের অফিসের ভিতরেই গুলিবিদ্ধ হলেন এক প্রোমোটার। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রামে। গৌতম দে সরকার (৪৫) নামে ওই প্রোমোটারের বাড়ি স্থানীয় ঢাকাপাড়ায়। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। রবিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। গৌতমবাবুর পরিবার সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেও তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়েছিল। সে বারও কোনওক্রমে রক্ষা পান তিনি। রবিবারের এই ঘটনার পরে উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। |
|
নিজের অফিসে এখানেই গুলিবিদ্ধ হন গৌতমবাবু। রবিবার। ছবি: সুদীপ ঘোষ। |
পুলিশ সূত্রের খবর, মধ্যমগ্রামের দক্ষিণায়নে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে নিজের অফিসে বসেছিলেন গৌতমবাবু। তাঁর দু’-তিন জন সঙ্গীও ছিলেন। মোটরবাইকে চেপে পাঁচ-ছ’জন দুষ্কৃতী আসে সেখানে। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে আচমকা ওই প্রোমোটারকে লক্ষ করে ছ’-সাত রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গৌতমবাবুর ঘাড়ে, কানের নীচে ও পেটে মোট চারটি গুলি লাগে। চিৎকার করলে বাকিদেরও গুলি করার হুমকি দিয়ে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তারা চলে গেলে মধ্যমগ্রাম তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আতঙ্কে সুনসান রাস্তাঘাট। চাপ চাপ রক্ত পড়ে অফিসের ভিতরে। গৌতমবাবুর ভাই কার্তিক দে সরকার বলেন, “আমি বাড়িতে খাবার আনতে গিয়েছিলাম। এসে শুনি, এই ঘটনা।”
গৌতমবাবুর অফিসটি মধ্যমগ্রাম পুরসভার পাশের গলিতে। প্রশ্ন উঠেছে, এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দিনেদুপুরে এ ভাবে হামলা চালিয়ে সমাজবিরোধীরা পালিয়ে গেল কী ভাবে? গত সপ্তাহের হামলার পরেও কেন ওই প্রোমোটারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল না পুলিশ? পুলিশের কাছ থেকে অবশ্য কোনও সদুত্তর মেলেনি। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।” পুলিশের অভিযোগ, প্রোমোটারি শুরু করার আগে গৌতমবাবুও সমাজবিরোধী কাজকর্মে যুক্ত ছিলেন। তাঁকে এই কারণে আগে এক বার গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও জানায় পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শীদের যুক্তি, গৌতমবাবুর অফিসটি বাতানুকূল হওয়ায় গুলির শব্দ বাইরে আসেনি। তাই সেখানে কী হয়েছে, তা এলাকার লোক জানতে পারেননি বলেই তাঁদের দাবি। পুলিশের দৃঢ় বিশ্বাস, ওই আততায়ীরা গৌতমবাবুকে আগে থেকে ভাল ভাবেই চিনত। তবে সমাজবিরোধীদের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা, নাকি প্রোমোটারি ব্যবসা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে এই আক্রমণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|